দেশের তিন হাজার ৮শ ইউনিয়নে ফাইবার অপটিক পৌঁছে গেছে। আইসিটি বিভাগের ইনফো সরকার প্রকল্পের মাধ্যমে দুই হাজার ৬শটি এবং কানেক্টেড বাংলাদেশের মাধ্যমে আরো প্রায় ৬শটি ইউনিয়নে ফাইবার অপটিকের মাধ্যমে ইন্টারনেট সংযোগ পৌঁছে দিতে প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। বাকি ১শ’ ৫৫টি দুর্গম দ্বীপ ও পাহাড়ি অঞ্চলে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ২১ সালে মধ্যে ইন্টারনেট পৌছে দেয়া হবে। এভাবেই ডিজিটাল সেন্টারে দ্রুত গতির ইন্টারনেটে সংযুক্তির পাশাপাশি এগুলোকে ডিজিটাল ইকোনমিক হাব হিসেবে রূপান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি বলেছেন, সেন্টারগুলোর উদ্যোক্তাদের আয়ের ব্যবস্থা করে দিতে ডিজিটাল সেন্টারগুলোকে আমরা ডিজিটাল ইকোনমিক হাব বাড়াবো। এগুলোতে ই-কমার্সসহ বিভিন্ন সেবা যোগ করার ব্যবস্থা করব যেন নাগরিকেরা এখান থেকে সেবা পান এবং উদ্যোক্তাদের আয় বাড়ে।
বুধবার (১১ নভেম্বর) ডিজিটাল সেন্টার চালুর ১০ বছরপূর্তি উপলক্ষে এক অনলাইন সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি আরো বলেছেন, এই ডিজিটাল সেন্টারগুলো, শহর-গ্রাম, নারী-পুরুষ বৈষম্য দূর করেছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দিন আহমদ ও বাংলাদেশে ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জী।
আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলমের সভাপতিত্বে সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন এটুআই প্রকল্প পরিচালক ড. মোঃ আব্দুল মান্নান।
সংবাদ সম্মেলনে দশক পূর্তীতে ডিজিটাল সেন্টারের নানা অর্জনের কথা তুলে ধরেন এটুআই এর পলিসি অ্যাডভাইজার আনীর চৌধুরী। তিনি জানান, দেশে প্রায় সাড়ে ছয় হাজারের অধিক ডিজিটাল সেবাকেন্দ্র থেকে মাসে গড়ে প্রায় ৬০ লাখ নাগরিক সেবা নিয়ে থাকেন। আর এসব ডিজিটাল সেন্টারে প্রায় ১৩ হাজার উদ্যোক্তা কাজ করছেন। যাদের মধ্যে পাঁচ হাজারের অধিক আছেন নারী উদ্যোক্তা। ২০২১ সাল নাগাদ আট হাজার ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে প্রায় ৫শটি সেবা প্রায় ৭০ লাখ নাগরিকদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। একইসঙ্গে ২০৩০ সাল নাগাদ প্রায় ২৫ হাজার ডিজিটাল সেন্টার চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। এর মধ্যে দিয়ে মাসে প্রায় এক কোটি নাগরিক প্রায় দুই হাজার ৮শটি সেবা নিতে পারবেন।