বাংলাদেশকে এআই উদ্ভাবন ও প্রযুক্তি গ্রহণে অগ্রগামী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরে সহায়তার লক্ষ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নীতিমালার খসড়া তৈরি করেছে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ।
চলতি মাসের প্রথম দিনেই এই খসড়া নীতিমালাটি বিভাগের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। খসড়ায় সব বিশ্ববিদ্যালয়ে এআই সেন্টার, সংশ্লিষ্ট খাতে শিক্ষানবিশ প্রোগ্রাম চালু এবং এআইভিত্তিক সেবা দিতে কর্তৃপক্ষের মানসনদ নেওয়ার বাধ্যবাধকতা ও উচ্চপর্যায়ের অংশীজনদের নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদ এবং স্বাধীন সংস্থা গঠনের বিষয় অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও জাতীয় লক্ষ্যের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ এআই-সম্পর্কিত প্রকল্প গ্রহণে একটি ‘একক-উইন্ডো ক্লিয়ারেন্স’ সিস্টেম, গবেষণা, উদ্ভাবন, শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তিগত অবকাঠামোর ক্ষেত্রে করছাড় বা কর অব্যাহতির কথাও রয়েছে খসড়ায়।
আইনটি পাশের আগে খসড়া নীতিমালা নিয়ে আগামী বৃহস্পতিবার সকালে বহুপক্ষীয় আলোচনার আয়োজন করেছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আইন ও বিধি প্রণয়ন শাখা।
সূত্রমতে, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সভাপতিত্বে আগারগাঁও প্রশাসনিক এলকায় অবস্থিত বিটিআরসি ভবনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিতব্য এই স্টেকহোল্ডার কনসালটেশন সভায় উপস্থিত থাকবেন আইন মন্ত্রী আনিসুল হক। সভায় সরকারের বিভিন্ন সংস্থা/দপ্তরের কর্মকর্তা, তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উদ্যোক্তা, বাণিজ্য সংগঠনগুলোর প্রতিনিধি, জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি এবং বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, সাংবাদিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থেকে খসড়া আইনের ওপর মতামত তুলে ধরবেন।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে জাতীয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কৌশল প্রণয়ন করে সরকার। কিন্তু বর্তমানে বিস্তৃত নীতি গ্রহণের গুরুত্ব অনুধাবন করে এআই নীতি প্রবর্তনের উদ্যোগ নেয়া হয়। এআইয়ের আইনি, নৈতিক ও সামাজিক প্রভাবগুলো মোকাবিলার নানা বিষয় আমলে নিয়ে এই নীতিমালার খসড়া প্রকাশ করা হয়েছে।