দেশে ১৯ কোটি সিম কার্ড ও ১৩ কোটি ১৪ লাখ ইন্টারনেট ব্যবাহারকারী রয়েছে। জনমিতি অনুসারে টেলিঘনত্ব ১০৭ দশমিক ৯০ শতাংশ। ইন্টারনেট ভিত্তিক কর্মসংস্থান ২০ লাখে উন্নীত হয়েছে। সফটওয়্যার, হার্ডওয়্যার ও বিটিও মিলিয়ে দেশে এখন ৬ লাখ ৯০ হাজার আইটি ফ্রিল্যান্সার রয়েছে। তারা প্রায় ১.৯ বিলিয়ন ডলার আইসিটি খাত থেকে রপ্তানি আয় করে থাকে।
এই আয় বাড়াতে দেশের প্রত্যেকটি উপজেলার উপজেলা কমপ্লেক্সের ৫ম তলায় প্রায় ২ কোটি টাকা ব্যয়ে জয় ডিজিটাল সার্ভিস এমপ্লয়মেন্ট এন্ড ট্রেনিং সেন্টার করা হচ্ছে। সাশ্রয় করতে নতুন জায়গা না নিয়ে কমপ্লেক্স ভবনকে ভার্টিকাল এক্সটেনশন করে এই অত্যাধুনিক প্রশিক্ষণ, ইনকিউবেশন ও ইমপ্লয়মেন্ট সেন্টারটি তৈরি শেষ হবে। আগামী ২০২৬ সালের ডিসেম্বরের মধ্যেই এগুলোর নির্মাণ কাজ শেষ হবে। সেখান থেকে হাজার হাজার তরুণ-তরুণী প্রশিক্ষণ নিয়ে কর্মসংস্থান করতে পারবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
সোমবার সন্ধ্যায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনের প্রশ্ন, জিজ্ঞাসা ও উত্তর, জরুরী জন-গুরুত্বসম্পন্ন বিষয়ে মনোযোগ আকর্ষণ (বিধি-৭১) এর গৃহীত নোটিশসমূহের উপর আলোচনা, উপস্থানীয় কাগজপত্র এবং মহামান্য রাষ্ট্রপতির ভাষণ সম্পর্কে আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের উপর আলোচনায় এসব তথ্য জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
সোশ্যাল মিডিয়া থেকে ৯৫৯৮টি লিংক অপসারণ হয়েছে
হবিগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরীর সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে তথ্যপ্রযুক্তি (ডাক ও টেলিযোগাযোগ) প্রতিমন্ত্রী জানান, ইউটিউব ও সোশ্যাল মিডিয়ার অসত্য ও উসকানিমূলক তথ্য প্রচারকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে অন্তর্ভুক্ত নয়। সদ্য সমাপ্ত দ্বাদশ জাতী সংসদ নির্বাচনের আগে ও পরে ইউটিউব ও সোশ্যাল মিডিয়া থেকে অসত্য ও উস্কানিমূলক তথ্য সংশ্লিষ্ট ৯৫৯৮টি লিংক অপসারণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
একই সংসদ সদস্যের প্রশ্নের লিখিত উত্তরে পলক জানিয়েছেন, দেশে বর্তমানে ১৯ কোটি মোবাইল সিম গ্রাহক রয়েছে। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৩ কোটি ১৪ লাখ। ইন্টারনেটে ২০ লাখ যুবকের কর্মসংস্থান হচ্ছে, আইটিতে কাজ করছে ৬.৯ লাখ যুবক। এরা আমাদের দেশে প্রতি বছরে ১. ৯ বিলিয়ন ইউএস ডলায় আয় করছে। প্রধানমন্ত্রী ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের একান্ত প্রচেষ্টায় ১৭টি মোবাইল কোম্পানি প্লান্ট স্থাপন করেছে এখানে। আমাদের দেশে যেসব মোবাইল ফোন বিক্রি হয় তার ৯৫ শতাংশ এখানে তৈরি হয়।
ইউনিয়নে টেলিটক ৫জি; সেবামুখী হচ্ছে বিটিসিএল
নোয়াখালী-৩ (বেগমগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য মামুনুর রশিদ কিরণের প্রশ্নের জাবাবে প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, বিটিসিএল ওয়েবসাইট থেকেই গ্রাহক এখন বিল ডাউনলোড করে অনলাইনেই বিল ও ডিমান্ড নোটের অর্থ পরিশোধ করতে পারেন। গ্রাহক সেবাকেন্দ্র ছাড়াও বিটিসিএল এর কল সেন্টার ১৬৪০২ চালু থাকে ২৪ ঘণ্টা। নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলায় ইউনিয়নসহ টেলিটক এর ১৭টি টাওয়ার রয়েছে। নেটওয়ার্ক উন্নয়নের অংশ হিসেবে ৫জি-তে রূপান্তরে ৭টি টাওয়ার স্থাপন করা হবে। ২০২৫ সালে এই কাজ শেষ হবে। ইউনিয়ন পর্যায়ে টেলিটকের ৪জি নেটওয়ার্ক ছড়িয়ে দিতে টাওয়ার স্থাপন করা হবে।
৫০০ স্মার্ট ডাকঘর থেকেও চালু হবে পেনসন স্কিম
ডাকঘর থেকেই ডিজিটাল সেবা দিতে সাড়ে ৮ হাজার পোস্ট অফিসকে ই-ডাকঘরে রূপান্তরিত করছে সরকার। সারাদেশের জেলা-উপজেলা পর্যায়ের ২৭০টি জরাজীর্ণ ডাকঘরকে আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। এরমধ্যে ৫০০টি ডাকঘরকে স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্ট হিসেবে রূপান্তরিত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। উদ্যোগ বাস্তবায়ন হলে এসব পয়েন্ট থেকে ডাক অধিদপ্তরের সকল সেবা সহ পচনশীল পণ্য আদান প্রদানের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। একইসঙ্গে ডাকঘর থেকে ক্ষুদ্র সঞ্চয়পত্র, স্টুডেন্ট সেভিং অ্যাকাউন্ট ও পেনসন স্কিম চালু করা হবে।
ডাক বিভাগের সঞ্চয়পত্র স্কিম ইউনিয়ন পর্যায়ে সম্প্রসারণ নিয়ে গাইবান্ধা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদের করা প্রশ্নের জবাবে সংসদের এসব তথ্য দিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী।
এছাড়াও সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে ডাকঘরের বড় পরিসরের জায়গাকে সরকার কাজে লাগানোর উদ্যোগ নিয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, ইতিমধ্যেই বেসরকারি খাত থেকে তিনটি প্রস্তাব পেয়েছি। যাচাই বাছাই করে অল্পদিনের মধ্যেই আমরা স্মার্ট তরুণ-তরুণী উদ্যোক্তাদের উপস্থিতিতে সেখান থেকে স্মার্ট সেবা দেয়া হবে।
২০২৬ সালেই ময়মনসিংহ হাইটেক পার্ক নির্মার্ণ শেষ হবে
ময়মসিংহ ৪ আসনের সংসদ সদস্য মোহিত উর রহমান এর প্রশ্নের জাবাবে প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, দেশজুড়ে ৮টি শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে। ৬টি হাইটেক পার্ক নির্মাণ ও চলমান রয়েছে। ৬৪টি জেলায় শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার নির্মাণ করা হচ্ছে। ১২টি বিভাগীয় ও জেলা শহরে নলেজ পার্ক নির্মাণ হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতিমধ্যেই ময়মনসিংহে একটি হাইটেক পার্কের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছেন। ১৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০২৬ সালের ডিসেম্বরের মধ্যেই এটি তৈরির কাজ শেষ হবে।
নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে ৩০০টি নির্বাচনী আসন ভিত্তিক দেড় লাখ তরুণ-তরুণীদের শর্ট সার্টিফিকেশন করানো হবে। স্টার্টআপ বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তাদের মূলধন সহায়তা দেয়া হবে। এছাড়াও শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব কেন্দ্রিক সাড়ে ৪ হাজার ইউনিয়নে একটি ট্রেনিং মডেল সেন্টার তৈরি করা হবে। ৪৯০টি উপজেলায় একটি করে জয় স্মার্ট সার্ভিস এমপ্লয়মেন্ট ট্রেনিং সেন্টার নির্মাণ কাজ চলছে। এর মাধ্যমে আইটি ও আইটিইএস খাত থেকে আগামী ৫ বছরে নতুন করে আরো ১০ লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা সম্ভব হবে। প্রতিটি সংসদীয় আসনে অন্তত পক্ষে ৫০০ করে তরুণ-তরুণীকে আইটি ফ্রিল্যান্সিংয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।
শিক্ষিতদের জন্য সান্ধ্য প্রশিক্ষণ
ভোলা ৩ আসনের সংসদ সদস্য নূরুন্নবী চৌধুরী শাওনের প্রশ্নের জবাবে পলক বলেন, খরচ সাশ্রয় করে সীমিত সম্পদ দিয়ে ১৩ হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল কম্পিউটার ল্যাব থেকে সন্ধ্যায় শিক্ষিত তরুণ-তরুণীদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে আইটি প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। সেখানে থাকা ২১টি ল্যাপটপ দিয়ে আইসিটি অধিদপ্তর, এটুআই ও শিক্ষামন্ত্রণালয় ত্রিপক্ষীয় উদ্যোগে এই কাজ হবে। দেশের সাড়ে ৪ হাজার ইউনিয়েনেই দক্ষতা উন্নয়নে একই ধরণের প্রশিক্ষণ দেয়া শুরু হবে। এর মাধ্যমে আমরা আমাদের রফতানি আয় আগামী ৫ বছরে ৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করবো।
গ্রামের শিক্ষকদের জন্য এআই! এ বছরেই প্রতি সংসদ আসনে ১০টি করে শেখ রাসেল ল্যাব
সম্পূরক প্রশ্নের শুরুতে নির্বাচনের পরে বেশি কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সফরের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন গাজীপুর-৫ আসনের সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামান। তিনি জানান, তার নির্বাচনী এলাকার ৬৬টি উচ্চবিদ্যালয়ের মধ্যে ১৯টিতে শেখ রাসেল কম্পিউটার ল্যাব স্থাপিত হয়েছে। সেগুলো ভিজিট করে তিনি খুবই খুশী হয়েছেন। এখন তিনি এই ল্যাবগুলো আন্তর্জাতিক মানের আউটসোর্সিং করতে সক্ষম উচ্চ মানের প্রশিক্ষক কিংবা সপ্তাহে এক দিন বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি দাবি করেন।
জবাবে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, আমরা ল্যাবগুলোতে আইসিটি শিক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা করেছি। তবে সেখানে শিক্ষকদের সক্ষমতার ঘাটতি রয়েছে তা সত্য। তাই আমরা ইতিমধ্যেই শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি যেন তারা শিক্ষকতার পাশাপাশি নিজেরাও ফ্রিল্যান্সিং করে বাড়তি আয় করতে পারেন। এছাড়াও ল্যাব ইনস্ট্র্যাক্টর পদে নতুন একটি পদ সৃষ্টির জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতরের কাছে আমরা আবেদন করেছি। পাশাপাশি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আরো ৫ হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন করছি। ৩০০টি সংসদীয় আসন ভিত্তিক স্কুল অব ফিউচার-এ নতুন করে ভবিষ্যতের সমস্যার সমাধানকারী প্রজন্ম গড়তে জাপানের কুমন মডেল অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। এআই প্রযুক্তি ভিত্তিক শিক্ষাদানের জন্য খান একাডেমির সঙ্গেও কথা বলছি। গ্রামের শিক্ষকরাও যেন এই এআই টুল ব্যবহার করে নিজেদের পাঠদানের সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারেন। `
প্রতিমন্ত্রী আরো জানিয়েছেন, আগামী জুনের মধ্যে ৩০০ আসনেই ১০টি করে শেখ রাসেল ডিজিটাল কম্পিউটার ল্যাব স্থাপনের নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। নতুন সংসদ সদস্যরা আগামী ৬ মাসের মধ্যে এই ল্যাবগুলো স্থাপনের সুযোগ পাবেন। এই ল্যাবগুলোতে আইসিটি অধিদপ্তরের প্রোগ্রামার, সহকারী প্রোগ্রামারদের মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে সাড়ে ৪ হাজার মডেল ট্রেনিং সেন্টার থেকে আফটার স্কুল প্রশিক্ষণ চালু করা হবে।
প্রস্তুত স্মার্ট বাংলাদেশের দলিল ও কর্মপরিকল্পনা, ৯৫ শতাংশ মোবাইল ফোন তৈরি হচ্ছে দেশেই
জনগণের কাছে স্মার্ট পলিসি দলিল আছে কি না এ বিষয়ে সংসদে প্রতিমন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন রাখেন গাইবান্ধা-১ সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ নাহিদ নিগার। প্রশ্নের জবাবে ‘দর্শন থেকে দর্পন’ নামের একটি প্রকাশনা আজই সংসদ সদস্যদের মধ্যে বিলি করা হয়েছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ৪ পৃষ্ঠার প্রচারপত্রে আমরা স্মার্ট নাগরিক, অর্থনীতি, সরকার ও সমাজ ব্যবস্থা কী হবে তা তুলে ধরেছি। আইসিটি উপদেষ্টার পরামর্শে ২০৪১ সাল নাগাদ স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা প্রণয়ের প্রাথমিক কাজ শেষ করেছি। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিবের সভাপতিত্বে স্মার্ট টাস্কফোর্সের নির্বাহী কমিটিতে ১৫ জন মন্ত্রীকে দায়িত্ব দিয়ে ১৫টি সাব কমিটি করে দিয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বিচার ব্যবস্থা, বাণিজ্য ও সংসদ সহ সব ক্ষেত্র কীভাবে স্মার্ট হবে তার দলিল ও কর্ম পরিকল্পনা প্রস্তুত করা হয়েছে।
দেশীয় সফটওয়্যার কোম্পানিগুলো সংসদ সদস্যদের জন্য ডিজিটাল পার্লামেন্ট বাস্তবায়ন করছে জানিয়ে পলক আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর চ্যালেঞ্জ নিয়ে এখন দেশেই ১৭টি কোম্পানি বাংলাদেশের জন্য প্রয়োজনীয় ৯৫ শতাংশ মোবাইল ফোন তৈরি করছে। দেশে তৈরি স্মার্টফোন, ল্যাপটপ, টেলিভিশন ইউরোপ-আমেরিকাতেও রপ্তানি হচ্ছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, আগামী এক বছরের মধ্যে এক লাখ প্রতিষ্ঠানে উচ্চগতির ফাইবার অপটিক্যাল ক্যাবল পৌঁছে দেয়া হবে। আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের সঠিক পথে দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছি।
পাঠ্যক্রমে ডিজিটাল লিটারেসি অন্তর্ভূক্তের অনুরোধ
কুমিল্লা-৩ এর সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর আলমের পক্ষে এ দিনে সংসদে তারকা চিহ্নিত প্রশ্ন ১৯৮ উপস্থাপন করেন হবিগঞ্জ-৪ সাংসদ সাইয়েদুল হক। প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বর্তমানে ১২ জেলায় আইটি পার্ক স্থাপন প্রকল্পের অধীনে কুমিল্লা সদরে একটি নলেজ পার্ক স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে। এছাড়াও লালমাই উপজেলায় শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। শিগগিরই সেখানে প্রশিক্ষণ শুরু হবে। ভবিষ্যতে জায়গা বরাদ্দের ভিত্তিকে কুমিল্লার মুরাদ নগরে ডিজিটাল বাংলাদেশের আর্কিটেক্ট সজীব ওয়াজেদ জয়ের নামে একটি আইটি পার্ক স্থাপনের বিষয় বিবেচনায় রয়েছে। সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশের জিডিপি বৃদ্ধি ডিজিটাল প্লাটফর্মে লেনদেন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এখানকার লেনদেনের তথ্য-অর্থ-উপাত্তের সুরক্ষা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হয়ে দেখা দিয়েছে। ডিজিটাল স্বাক্ষরতা ও সাইবার সচেতনতা বৃদ্ধি, কম্পিউটার ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিমের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বাড়ানোর ফলে ২০১৬ সালের পর বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। আমাদের সাইবার জগত নিরাপদে আন্তর্জাতি সমঝোতার মাধ্যমে এগিয়ে যাচ্ছি। তবে এক্ষেত্রে সচেতনতা ও দক্ষতা উন্নয়নে পাঠ্যক্রমে ডিজিটাল লিটারেসি ও সাইবার নিরাপত্তা অন্তর্ভূক্ত করার অনুরোধ করছি। একইসঙ্গে সংসদ সদস্যরা যেনো হাসিনা অ্যান্ড ফ্রেন্ডস ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আনন্দের সঙ্গে ডিজিটাল স্বাক্ষরতা ও সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে শিখতে নিজেদের এলাকার শিক্ষক-অভিভাবকদের অন্তর্ভূক্ত করেন সেই অনুরোধ করছি। সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করলে শতভাগ ডিজিটাল স্বাক্ষরতা অর্জন সম্ভব হবে।
মেশিন ডিজিটাল অ্যাটেন্ডেন্স দাবি
দেশজুড়ে ছড়িয়ে থাকা কম্পিউটার, ল্যাপটপ সব সময় সচল থাকতে কিংবা ভাইরাস মুক্ত রাখতে সংসদে সম্পূরক প্রশ্নে মেশিন ডিজিটাল অ্যাটেন্ডেন্স এর প্রস্তবানা দেনে পটুয়াখালী ৩ আসনের সংসদ সদস্য এস এম শাহজাদা। জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, শিক্ষক নিয়োগে আমরা আরো সতর্ক থাকবো। এ নিয়ে শিক্ষামন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলছি। পাশাপাশি শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবগুলো মনিটরিং ও ট্রাকিং করতে প্রযুক্তিগত ব্যবহারের মাধ্যমে তা দেখভালের চেষ্টা করবো। নতুন ল্যাবে বিল্ট ইন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।
স্মার্ট হবে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার
নাটোর-৪ এর সংসদ সদস্য সিদ্দিকুর রহমানের ইউনিয়ন সেবাকেন্দ্রের উদ্যোক্তাদের ভুল নিয়ে করা প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বেতনভুক্ত কাউকে যদি উদ্যোক্তাদের স্থলে দেয়া হয় তবে কাজের গতি কমে যাবে। তাই ইউনিয়ন সার্ভিস সেন্টারগুলোকে স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্টে রূপান্তর করতে উদ্যোক্তাদের দক্ষতা ও সেবার সংখ্যা বৃদ্ধিতে উদ্যোগ নেয়া হবে।
রংপুর-১ এর সংসদ সদস্য মোঃ আসাদুজ্জামানের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, রংপুর সদরে বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ডা. ওয়াজেদ মিয়ার নামে ১৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি হাইটেক পার্ক স্থাপনের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। এছাড়াও গঙ্গাচরা উপজেলায় একটি জয় স্মার্ট সার্ভিস অ্যান্ড এমপ্লয়মেন্ট ট্রেনিং সেন্টার নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আশা করি আগামী ২ বছরের মধ্যেই এই দুইটি প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শেষ হবে। সেখান থেকে হাজার হাজার কর্মসংস্থান তৈরি হবে ইনশাআল্লাহ।