দ্বিতীয় দফায় জেলা পরিষদ নির্বাচন সোমবার (১৭ অক্টোবর)। তিন পার্বত্য জেলা বাদে দেশের ৬১ জেলা পরিষদের মধ্যে এদিন ভোট হবে ৫৭ জেলায়। সম্প্রতি সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করেই গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনের নির্বাচন কমিশন ভোট বাতিলের ঘটনা প্রশসিংত হওয়ায় এবার এই ৫৭টি জেলা পরিষদের ভোটের জন্য ৪৬২টি ভোটকেন্দ্রের ৯২৫টি ভোটকক্ষেও বসানো হচ্ছে ক্যামেরা।
সোমবার সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএমের মাধ্যমে নেয়া এই ভোট ঢাকায় বসে পর্যবেক্ষণও করা হবে।
এদিকে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ ওঠায় তাকে পরিবর্তন করে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। নির্বাচনকে ঘিরে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস। এই নির্বাচনে প্রতিটি ভোট কেন্দ্র ও বুথে বসছে সিসিটিভি ক্যামেরা। এসব ক্যামেরার মাধ্যমে নির্বাচনে ভোটগ্রহণ পর্যবেক্ষণ করা হবে ঢাকার নির্বাচন কমিশন সচিবালয় ও চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস থেকে।
জানা গেছে, সকাল ৯টা থেকে বিকাল ২টা পর্যন্ত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ১৫টি উপজেলার ৩০টি বুথে এক টানা ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
এক বিজ্ঞপ্তিতে ইসি জানায়, সিসিটিভি ও ইভিএম মেশিন যথাযথভাবে সচল রাখার স্বার্থে এবং ভোটাররা যাতে সুষ্ঠুভাবে তাদের ভোট প্রয়োগ করতে পারেন, সে জন্য ভোটকেন্দ্রসংশ্লিষ্ট উপজেলা সদরে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও জেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটানিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেছেন, ‘জেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে গ্রহণে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। ইভিএম এর মাধ্যমে সব কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। সব কেন্দ্রে থাকবে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা বলয়। মনিটরিং করা হবে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে।’