বিতরণের জন্য প্রস্তুত ৪ লাখ ৬৭ হাজার ড্রাইভিং লাইসেন্স। অপেক্ষমান ১১ লাখ ৬৭ হাজার ৮৯৬টি ড্রাইভিং লাইসেন্স এরই মধ্যে প্রিন্ট করে সংশ্লিষ্ট সার্কেল অফিসে পাঠানো হয়ছে। এর মধ্যে প্রায় ৭ লাখ লাইসেন্স বিতরণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) জানিয়েছে, বিতরণের জন্য অবশিষ্ট লাইসেন্স বিতরণের জন্য আবেদনকারী বরাবর সুনির্দিষ্ট তারিখ উল্লেখ করে এসএমএস পাঠানো হচ্ছে।
এর আগে এসএম দিয়ে ৫ কর্ম দিবস পরে আসার জন্য বার্তা দিয়েছিলো বিআরটিএ। ওই এসএমএস নিয়ে হাজির হওয়া প্রার্থীদের ভিড়ে গত সপ্তাহে ব্যাপক বিড়ম্বনা সৃষ্টি হয়। তবে এ সপ্তাহ থেকে কার্ড সংগ্রহের সুনির্দিষ্ট তারিখ দেয়া হচ্ছে।
এর পরেও যদি ছবি দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষাও থেকেও কেউ মেসজ না পান তবে বিআরটিএ’র ওয়েবসাইটের লিংকে ক্লিক করে লাইসেন্স গ্রহণের তথ্য জানতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। অবশ্য বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এই লিংক প্রকাশ করা হলেও এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত বিআরটিএ’র ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমটি ‘আন্ডার কনস্ট্রাকশন’ ছিলো।
বিআরটিএ সূত্রে জানা যায়, যারা ২০২১ সালের জুনের আগে যারা বায়োমেট্রিক দিয়েছিলেন তাদের সব লাইসেন্স প্রস্তুত রয়েছে। ওয়েবসাইটে চেক করে তারা সংশ্লিষ্ট সার্কেল অফিস থেকে ডেলিভারি নিতে পারবেন।
প্রসঙ্গত, করোনা মহামারিসহ নানা জটিলতায় ড্রাইভিং লাইসেন্স/স্মার্ট কার্ড প্রিন্টিং ও বিতরণ বন্ধ ছিল দীর্ঘদিন। যার ফলে গ্রাহকদের কাগজের ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছিল। অবশেষে সেসব ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রিন্টের কাজ শেষ হয়েছে। এ কারণে গ্রাহকদের সংশ্লিষ্ট সার্কেল অফিস থেকে কার্ড নিতে অনুরোধ জানিয়েছে বিআরটিএ। একইসঙ্গে লাইসেন্স সরবরাহের তথ্য বিআরটিএ’র ওয়েবসাইট www.brta.gov.bd-এ আপলোড করা হয়েছে।
বলা হয়েছে, বিআরটিএ’র ওয়েবসাইটের নির্দিষ্ট লিংক থেকে তথ্য জেনে সংশ্লিষ্ট বিআরটিএ সার্কেল অফিস থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্স গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করা হলো। এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ বা পরামর্শ থাকলে [email protected]এই ইমেইলে পাঠানোর অনুরোধ করা হলো।