অর্থনীতির ডিজিটাল উদ্যোগ সৃষ্টির সক্ষমতা নির্ণয়ে এশিয়া প্রাশান্ত মহাসগরীয় দেশগুলোর সক্ষমতা ও অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। প্রতিবেদন অনযায়ী, আটসূচকের মধ্যে ভৌত অবকাঠামোতে বাংলাদেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে। এই সূচকে বাংলাদেশ অর্জন করেছে ৩২ দশমিক ১ নম্বর। সবচেয়ে কম ২ দশমিক ১ নম্বর পেয়েছে সংস্কৃতি ও অনানুষ্ঠানিক প্রতিষ্ঠানবিষয়ক সূচকে।
ডিজিটাল উদ্যোগের পরিপূরক সংস্কৃতি বা সবচেয়ে শক্তিশালী খাত মানবপুঁজিতেও পয়েন্টে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্জিত পয়েন্ট ৮ দশমিক ৫। বাকি পাঁচটি সূচকের মধ্যে আনুষ্ঠানিক প্রতিষ্ঠান বিধিবিধান ও কর সূচকে বাংলাদেশ পেয়েছে ১০ পয়েন্ট, বাজার পরিস্থিতি সূচকে ৭ দশমিক ৮, জ্ঞান সৃষ্টি ও বিতরণ সূচকে ১৪ দশমিক ৫, অর্থায়ন সূচকে ২০ দশমিক ১ ও নেটওয়ার্কিং ও সহযোগিতা সূচকে পেয়েছে ১৪ দশমিক ৬ পয়েন্ট।
‘এশিয়ার উন্নয়নবিষয়ক পূর্বাভাস’ শীর্ষক এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুধু বাংলাদেশ নয়, এশিয়া অঞ্চলের প্রায় সব দেশ ‘সংস্কৃতি ও অনানুষ্ঠানিক প্রতিষ্ঠান’ শীর্ষক সূচকে পিছিয়ে আছে। এর অর্থ হলো, উদ্যোগের বিষয়ে এই অঞ্চলের মানুষ নেতিবাচক। অর্থাৎ সামাজিক মর্যাদা ও ক্যারিয়ার বাছাইয়ের বিষয়ে মানুষ উদ্যোগকে ভালো চোখে দেখে না। বাংলাদেশের মানুষের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।
এ ক্ষেত্রে উন্নয়নে উদ্যোগ বিষয়ে জনমত বা মানুষের ধারণা তৈরিতে পরামর্শ করার করার কথা বলেছে এডিবি। শিক্ষার মাধ্যমে তা করা যায় বলে মনে করে এডিবি। স্থানীয় উদ্যোক্তাদের মধ্যে যোগাযোগ, নেটওয়ার্কিং তৈরি -যেমন স্টার্টআপ অ্যাসোসিয়েশন বা সংঘ গঠনের মতো পরোক্ষ হস্তক্ষেপের মাধ্যমে ডিজিটাল উদ্যোগের সহায়ক পরিবেশ তৈরি করতে পরামর্শ দিয়েছেন প্রতিবেদন প্রস্তুতকারী জ্যেষ্ঠ বিশেষজ্ঞ সু চ্যান হং।
তিনি বলেছেন, জ্ঞানের দিক থেকে পিছিয়ে থাকা এশিয়ার ডিজিটাল উদ্যোগের ক্ষেত্রে অন্যতম বাধা। তবে আগামী দিনে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে ডিজিটাল উদ্যোক্তারা বড় ভূমিকা রাখতে পারেন। সে জন্য ডিজিটাল উদ্যোক্তাদের জন্য বিশ্বমানের ডিজিটাল পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদনের প্রবৃদ্ধি (জিডিপি) ৬ দশমিক ৬ শতাংশ হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এডিবির ঢাকা কার্যালয়ে প্রকাশিত এশীয়ান ডেভলপমেন্ট আউটলুকে এ তথ্য জানানো হয়। প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন সংস্থাটির সিনিয়র কান্ট্রি স্পেশালিস্ট সুন চ্যাং হোন। সংবাদ সম্মেলন সঞ্চালন করেন এডিবির বহি:সম্পর্ক বিভাগের প্রধান গোবিন্দ বার।