সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনী রশ্মি থেকে মানুষকে রক্ষা করতে সরকার ওজোন স্তরে সুরক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন। তিনি বলেন, ওজোন স্তরের সুরক্ষায় গৃহীত মন্ট্রিল প্রটোকলের আওতায় গৃহীত সব কর্মসূচি ও প্রকল্প সরকার বিশেষ গুরুত্ব সহকারে যথাসময়ে অনুমোদন ও বাস্তবায়ন করে চলছে।
সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ‘পঁয়ত্রিশে মন্ট্রিল প্রটোকল- জীবন রক্ষায় অঙ্গীকার অবিচল’ প্রতিপাদ্যে বিশ্ব ওজোন দিবস-২০২২ উপলক্ষে পরিবেশ অধিদপ্তরে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ। আরও বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত সচিব মো. মনিরুজ্জামান, ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার, ওডিএস প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. জিয়াউল হক প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশে এইচসিএফসি-এর ব্যবহার রোধে দিকনির্দেশনা সংবলিত ন্যাশনাল কুলিং প্ল্যান প্রণয়ন করা হচ্ছে। বাংলাদেশ অতি শিগগির কিগালি সংশোধনী বাস্তবায়ন পরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ শুরু করবে। আমি এক্ষেত্রে সকল অংশীজনের সহযোগিতা কামনা করছি।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে মন্ট্রিল প্রটোকলের আওতায় এয়ারকন্ডিশনার, অগ্নি নির্বাপণ ও থার্মাল ফোম সেক্টরে ব্যবহৃত হাইড্রোক্লোরোফ্লোরোকার্বন (এইচসিএফসি) ফেজ আউট করার কাজ চলছে। এ লক্ষ্যে আমরা এইচসিএফসি ফেজ আউট ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান-২ বাস্তবায়ন করছি। এর বিকল্প প্রযুক্তি একই সঙ্গে ওজোন স্তর এবং জলবায়ুবান্ধব হবে। এটা বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ ২০২৫ সালের মধ্যে ৬৭ দশমিক ৫০ শতাংশ এইচসিএফসি-এর ব্যবহার কমিয়ে আনতে সক্ষম হবে।