স্বাধীনতা পুরস্কার ও একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রখ্যাত প্রত্নতাত্ত্বিক অধ্যাপক ড. এনামুল হক আর নেই (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। তার মৃত্যুতে শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান।
রোববার (১০ জুলাই) এক শোকবার্তায় মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান মরহুমের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
রোববার বিকেলে রাজধানীতে নিজের বাসায় মারা যান ড. এনামুল হক। ড. এনামুল হকের সহকর্মী (রিসার্চ ফেলো) সাইফুল ইসলাম জানান, ঈদের দিন সকাল থেকে পশু কোরবানির যাবতীয় কাজ তত্ত্বাবধান করে দুপুরে খেয়ে ঘুমাতে যান ড. এনামুল। ঘুমের মধ্যে সাড়া না পেয়ে তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
জানা গেছে, এনামুল হকের মরদেহ বারডেম হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হবে। তার মেয়ে আগামী মঙ্গলবার (১২ জুলাই) বিদেশ থেকে ফিরলে দাফনের বিষয়ে নেওয়া হবে সিদ্ধান্ত।
প্রসঙ্গত, এনামুল হক ১৯৩৭ সালের ১ মার্চ বগুড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাস-প্রত্নতত্ত্বে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভের পর যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দক্ষিণ এশিয়ার শিল্প বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৬২ সালে তৎকালীন ঢাকা জাদুঘরে যোগদান করে এনামুল হক। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ঢাকা জাদুঘর বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে রূপান্তর হলে প্রতিষ্ঠাকালীন মহাপরিচালক হিসেবে যোগ দেন তিনি। নিজের অবস্থান থেকে অনবদ্য অবদান রাখায় ড. এনামুল হক ২০২০ সালে সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত হন। এর আগে ২০১৭ সালে একুশে পদক পেয়েছিলেন তিনি। ভারত সরকারের ‘পদ্মশ্রী’ পদকও অর্জন করেছিলেন।