বর্তমানে শতভাগ যোগ্য প্রতিষ্ঠানের অনলাইনে ভ্যাট নিবন্ধন শেষ হয়েছে। এর ফলে প্রায় ৭৩ শতাংশ রিটার্ন অনলাইনে দাখিল হচ্ছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্রটি জানিয়েছে, ২৫ ধরনের ব্যবসায় স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে হিসাব রাখা বাধ্যতামূলক, যাদের বার্ষিক টার্নওভার বা মোট লেনদেনের পরিমাণ ৫ কোটি টাকার বেশি।
এমন পরিস্থিতিতে ভ্যাট নিবন্ধিত অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানকে ইএফডির আওতায় আনার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন এনবিআরের সাবেক সদস্য রেজাউল হাসান।
এনবিআরের ভ্যাট বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, খুচরা ও পাইকারি পর্যায়ে বিপুল পরিমাণ ভ্যাট ফাঁকি হয়। ঠিকমতো নজর দিলে এ খাত থেকে আদায় অনেক গুণ বাড়বে। এটা সম্ভব হবে যদি খুচরা ও পাইকারি পর্যায়ের সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে মেশিনের আওতায় আনা যায়।
সূত্রমতে, লক্ষ্য বাস্তবায়নে ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে আগামী এক বছরের মধ্যে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বড় শহরগুলোতে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস বা ইএফডি বসাতে যাচ্ছে রাজস্ববোর্ড। এজন্য মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ফাঁকি বন্ধে ১০ হাজার মেশিন বসানো হবে। তখন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ইএফডি ব্যবহার করা হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভ্যাটের টাকার হিসাব এনবিআরের মূল সার্ভারে চলে যাবে। এ ব্যবস্থায় তথ্য গোপন বন্ধ হবে এবং প্রতিদিনের লেনদেনের প্রকৃত তথ্য জানা যাবে। ফলে কমবে ফাঁকি; বাড়বে রাজস্ব আয়।
এ বিষয়ে প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মেনস্তাফা কামাল বলেছেন, ‘বিভিন্ন ধরনের খুচরা ও পাইকারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধির লক্ষ্যে দুই অর্থবছর আগে, অর্থাৎ ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে প্রথমবারের মতো আধুনিক প্রযুক্তির ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস পদ্ধতি চালু করা হয়। এরপর থেকে ৪ হাজার ৫৯৫টি মেশিন স্থাপন করা হয়েছে। আগামী ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মোট ১০ হাজার ইএফডি মেশিন স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এই কর্মসূচি চলমান রাখার পাশাপাশি আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে মেশিন স্থাপনের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ পদক্ষেপের ফলে ২০২৬ সালের মধ্যে ভ্যাট আদায় কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় পৌঁছাবে বলে আশা রাখি।