প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বৃহস্পতিবার ডিজিটাল নিরাপত্তা জোরদার করার ওপর মনোনিবেশের বিষয়ে সবিশেষ জোর দিয়েছেন। বলেছেন, নতুন প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন, উৎকর্ষতা এবং এর বিবর্তনের সাথে সাথে নিরাপত্তার সমস্যাও বাড়বে।
সরকার প্রধান আরো বলেন, ‘আমাদের এখন নিরাপত্তার দিকে আরও বেশি মনোযোগ দিতে হবে। আসলে, প্রযুক্তি যেমন আমাদের জন্য সুযোগ তৈরি করে, এটি সমস্যারও সৃষ্টি করতে পারে। এই দিক থেকে, আমাদের নিরাপত্তা নিয়ে নতুনভাবে ভাবতে হবে।’ প্রযুক্তির অগ্রগতি দিন দিন বাড়তে থাকবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ’প্রতিদিন নতুন নতুন চিন্তা আসবে।’
গণভবনে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্স’-এর তৃতীয় সভায় দেয়া ভাষণে এমন অভিমত ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় অন্যান্যের মধ্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার।
গবেষণা বাড়ানোর নির্দেশনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রযুক্তির উৎকর্ষতা প্রতিনিয়ত বাড়তে থাকবে, এজন্য গবেষনার ওপর আমাদের আরও বেশি করে গুরুত্ব দিতে হবে। আমাদের গবেষণা সব সময় দরকার। তাই গবেষণার কাজ অব্যহত রাখতে হবে, যাতে আমরাও যেন বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারি এবং বাংলাদেশ যেন সকলের কাছে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে। সেটাই আমি চাই।’ তিনি বলেন, ‘আমরা অন্যের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকবো কেন ? আমাদের দেশের মানুষের মেধা আছে। সেটা বিকাশের সুযোগ করে দিলে আমরা অনেকদূর এগিয়ে যেতে পারবো।’
এসময় ডিজিটাল বাংলাদেশ সফলভাবে বাস্তবায়নের পরবর্তী টার্গেট ২০৪১ সাল নাগাদ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন বঙ্গবন্ধু কন্যা।
যুব সমাজকে দক্ষ করে গড়ে তোলার নির্দেশনা দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের যুব সমাজকে তৈরি করতে হবে। কারণ আমরা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের কথা বলছি শুধু এ কথা চিন্তা করা না; বাংলাদেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের তরুণ সমাজকে আরও বেশি উপযুক্ত করে গড়ে তোলা, উপযুক্ত শিক্ষা দেওয়া, উপযুক্ত ট্রেনিং দেওয়া বা তাদেরকে সেভাবে বা তাদের মন মানসিকতাও গড়ে তোলা সেটাই আমাদের করতে হবে।’
সরকার প্রধান বলেন, ‘বাংলাদেশ কিন্তু এখন একটা আকর্ষণীয় স্থান। এটা আমাদের মনে রাখতে হবে। আমাদের গৎবাঁধা পুরোনো কথা আর বলার দরকার নেই-যে ব্রেন ড্রেন…। আমাদের তো লোকের অভাব নেই। আমাদের ছেলেমেয়েরা শিক্ষা গ্রহণ করবে এবং আসবে। বরং বাইরে থেকে বাংলাদেশের পজিশন এখন অনেক দিক থেকে ভালো।…অনেক ভালো অবস্থা আমরা আছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘চার হাজারের ওপর ইউনিয়নে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পৌঁছে যাওয়া বা স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা, এগুলো হয়েতো কেউ স্বপ্নেও ভাবতে পারেনি। সেটাও আমরা করে ফেলেছি। তার সুফলটা মানুষ এখন পাচ্ছে। ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার ইউনিয়নে বসে শুধু দেশ নয়, বিদেশ থেকেও অর্থ উপার্জন করতে পারে। মানুষ যে সুযোগ পাচ্ছে, এটা বড় কথা।’