ভ্যাট বা মূসক (মূল্য সংযোজন কর) আদায়ে স্বচ্ছতা আনতে আসন্ন ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথমদিন ১ জুলাই থেকেই চালু হচ্ছে প্রযুক্তিনির্ভর ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস (ইএফডি) মেশিন। দেশের সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ইসিআরের (ইলেকট্রোনিক ক্যাশ রেজিস্টার) তুলনায় ইএফডি মেশিন বেশি কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় আসন্ন অর্থবছর থেকে ভ্যাট আদায়ে এই প্রযুক্তি চালুর বিষয়টি চূড়ান্ত করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এ অর্থবছরে ১০ হাজার দোকানে চালু হবে এই ইএফডি প্রযুক্তি। তবে এবছর যেসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক সরকারিভাবে ইএফডি মেশিন পাচ্ছেন না তাদের কাছ থেকে কোন পদ্ধতিতে ভ্যাট আদায় করা হবে তা পরিস্কার নয়।
সূত্রমতে, বাজেট বক্তৃতায় এ বিষয়ে নির্দেশসনা দেবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
জানাগেছে, নতুন এই প্রযুক্তি ব্যবস্থা চালু করতে এনবিআরের কেন্দ্রীয় সার্ভারে যুক্ত থাকবে সব ইএফডি মেশিন। প্রতিটি ইএফডির বিপরীতে প্রত্যেক ব্যবসায়ীকে বিআইএন (ব্যবসায়ী শনাক্তকরণ নম্বর) দেওয়া হবে। একই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে একাধিক ইএফডি যন্ত্র থাকলেও বিআইএন হবে একটি। তবে প্রতিটি যন্ত্রের জন্য এনবিআর থেকে বিশেষ কোড দেওয়া হবে। এর ফলে ইএফডি চালু হলে এনবিআরের বিভিন্ন কাস্টমস এক্সসাইজ অ্যান্ড ভ্যাট কমিশনারেটে বসে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা ওই কমিশনারের আওতাভুক্ত অনলাইনে ভ্যাট নিবন্ধিত বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের ভ্যাট পরিশোধের তথ্য জানতে পারবেন। বিশেষভাবে কী পরিমাণ পণ্য বিক্রিতে কতটা ভ্যাট পরিশোধ করা হচ্ছে তা সহজে জানার সুযোগ থাকবে এই প্রযুক্তিতে।
প্রসঙ্গত, দোকান মালিক সমিতির পক্ষ থেকে সারা দেশে ভ্যাট প্রদানে সক্ষম ৬ লাখ দোকানে ইএফডি মেশিন দেওয়ার আবেদন জানালেও অর্থবছরের শুরুতে এনবিআর মাত্র ১০ হাজার প্রতিষ্ঠানে ইএফডি মেশিন দেবে। এর জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ পেয়েছে রাজস্ববোর্ড। অর্থবছর শেষে এনবিআর আরও ৯০ হাজার ইএফডি মেশিন দেবে সমিতিকে। তবে ব্যবসায়ীরা চাইলে সরকারের কাছ থেকে কিস্তি সুবিধায় ব্যক্তিগতভাবেও ইএফডি মেশিন কিনতে পারবেন।