একটা সময় ছিল ছবি তোলার জন্য ক্যামেরা ছিল ভরসা। ডিজিটালের এই যুগে আমরা প্রত্যেকে এখন পকেটেই উন্নত মানের ক্যামেরা রাখি। ফোনের ক্যামেরায় ব্যবহার করা হয় উন্নত মানের ক্যামেরা। ফোনে শুরুর দিকে মাত্র ছিল একটি নরমাল ক্যামেরা তাও পিছেনের দিকে। তারপর ভালো মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা আসে ফোনে।
মানুষের চাহিদার সাথে তাল মিলিয়ে আসে সেলফি ক্যামেরা। ফোনের পিছনে ব্যবহার করা হয় একাধিক ক্যামেরা। এখন বাজারে আসতে চলেছে ৬ ক্যামেরার ফোনও।
মানুষের মনে এই ক্যামেরা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। একাধিক ক্যামেরা দিয়ে কী করা হয়, এর কাজটাই বা কি? আজ আমরা তুলে ধরবো ফোনের একাধিক ক্যামেরার কাজ কী সে বিষয়ে।
২০১১ সালে প্রথম ডুয়েল ক্যামেরা চালু হয়। আর এটি নিয়ে আসে এলজি। ফোনের মেইন ক্যামেরা ওপর আরেকটি ক্যামেরা থেকে প্রাপ্ত ডিটেইলস যোগ করে যে দারুন এক ইফেক্টসহ ছবি তোলা এটাই ডুয়াল ক্যামেরার মূল কাজ। ডুয়াল ক্যামেরার মাধ্যমে এমন অনেক কিছু করা যায় যা একটি ক্যামেরা দিয়ে হয়ত কখনই করা যেত না। যেমন : ১৮০ ডিগ্রী ছবি, ডিএসএলআরএর মতন ছবি, আরো ডিটেইলস সম্পন্ন ছবি, আল্ট্রা ফোরকে ভিডিও ক্যাপচার ইত্যাদি।
ডুয়াল ক্যামেরার একটি প্রাইমারী ক্যামেরা এবং দ্বিতীয়টি হল সেকেন্ডারি ক্যামেরা। সেকেন্ডারি ক্যামেরাটি হল মূলত ওয়াইড অ্যাঙ্গেল লেন্স যা দিয়ে কাভার করা হয় ৭৫ ডিগ্রী। সেখানে দ্বিতীয় ক্যামেরা দিয়ে বাকি ১৮০ ডিগ্রীটিও ক্যাপচার হবে।
যদি প্রাইমারি ক্যামেরাটি ৮ মেগাপিক্সেল হয়, সেকেন্ডারি ক্যামেরাটি ২ মেগাপিক্সেল তবে এর মূল কাজ হল ছবির প্রতিটি পিক্সেল এর সঠিক এবং নিখুত গভীরতা নির্নয়। তাই এখানে ডুয়াল ক্যামেরা সাহায্যে সঠিক ফোকাস এবং ব্লুর প্রয়োগ করে এমন ছবি তোলা সক্ষম হবে। ডুয়েল ক্যামেরাতে লো লাইটেও ভালো ছবি পাওয়া যায়।
বর্তমানে স্মার্টফোনের ডুয়াল ক্যামেরা প্রযুক্তি বদলে দিয়েছে সবকিছুকে। দু’টি ক্যামেরা মানে আগের চেয়েও বেশি পিক্সেল ডাটা এবং নিখুঁত ছবি তোলার জন্য আরও বেশি সেন্সর। এজন্য ডুয়াল ক্যামেরার মাধ্যমে কম আলোয় নিখুঁত অটো ফোকাস এবং উন্নত এইচডিআর মোডে দ্রুত ছবি তোলা সম্ভব।