রূপপুর পরমাণু কেন্দ্রের জন্য সমুদ্রপথে যাত্রা করেছে পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চুল্লিপাত্র ও জেনারেটর। রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে অবস্থিত ৩ শতাধিক বছরের প্রাচীন যন্ত্র ম্যানুফেকচারিং প্রতিষ্ঠান থেকে বাংলাদেশে আসছে ৩৩৩ দশমিক ৬ টন ওজেনের ভিভিইআর-১২০০ (VVER-1200) চুল্লিপাত্র এবং ৩৪০ টন ওজনের স্টিম জেনারেটর।
পৃথকভাবে চুল্লিপাত্র ও স্টিম জেনারেটর বিশেষ স্বয়ংক্রিয় যানে করে ভোলগোদোনস্কে সিমলিয়ান্সক জলাধারের একটি জেটিতে করে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে নভোরোসিয়েস্কে পৌঁছাবে, এরপর সেখান থেকে কৃষ্ণসাগর ও সুয়েজ ক্যানেল হয়ে বাংলাদেশে (রূপপুর) বিদ্যুৎ কেন্দ্রে পৌঁছাবে।
জেএসসি অটোমেনারগোম্যাশ-এর মহাপরিচালক আন্দ্রেই নিকিপেলোভ জানিয়েছেন, ১৪ হাজার কিলোমিটার সমুদ্রপথ অতিক্রম করে চুল্লিটি এ বছরের শেষের দিকে বাংলাদেশে পরমাণু কেন্দ্রে পৌঁছাবে।
এর আগে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের যন্ত্রপাতির গুণাগুণ দেখভাল করার জন্য ৮ সদস্যের দেশের একটি মনিটরিং দল রাশিয়ায় যান। তারা রাশিয়ান ফেডারেশনের সেন্ট পিটার্সবার্গ, মস্কো, ভলগাদনাস্ক ও পেট্রোজাবদ এলাকার বিভিন্ন ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানিতে যন্ত্রপাতি নির্মাণ কার্যের দেখভাল করছেন।
এরা হলেন, নিউক্লিয়ার পাওয়ার এনার্জি ডিভিশনের ডিরেক্টর ও প্রধান প্রকৌশলী মাহমুদ হোসাইন, মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. সৈয়দ মাসুদ রানা, ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশরাফুল হক ও মোঃ আহসানুল হাবীব, প্রকৌশলী মোহাম্মাদ শাহরিয়ার আশরাফ ও প্রকৌশলী মোঃ শামসুল আলম, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোহাম্মাদ সাজ্জাদ দেওয়ান এবং উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ ইউনুস আলী।