সহসাই বাংলাদেশের বিশেষ বিশেষ খাতে ব্লকচেইন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
তিনি জানিয়েছেন, আগামী ২০২৩ সালের মধ্যে দেশের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ খাতে ব্লকচেইন প্রযুক্তির প্রয়োগ করা হবে। সেই লক্ষ্যে ইতোমধ্যেই একটি নীতিমালা তৈরি করেছে আইসিটি বিভাগ। গত মার্চে এই নীতিমালাটি তৈরি করা হয়।
আইসিটি বিভাগের তৈরি ‘মাইকোর্ট’ সল্যুশনের মাধ্যমে লকডাউনের মধ্যেই ৮ কর্মদিবসের মধ্যে ১৮ হাজার বন্দিকে মুক্তি দেয়া সম্ভব হয়েছে
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নীতিমালা অনুযায়ী, দেশে খাদ্য উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনা, মধ্যসত্বভোগীদের দৌরাত্ম কমানো, ভূমি ব্যবস্থাপনা, রেমিটেন্স, স্বাস্থ্য খাতের প্রতিটি ক্ষেত্রে, স্মার্ট সিটি ও ই-কোর্ট, ব্যাংকিং, ই-কমার্স, উদ্ভাবনী সেবা এবং সরকারি ই-সেবায় ব্লকচেইন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।
২০২১ সালের মধ্যে ৯০ শতাংশ জনগণকে ইন্টারনেটে সংযুক্ত করা হবে। দেশের ৯০ শতাংশ সেবা অনলাইনে দেয়া হবে
রোববার (৩১ মে) রাতে ‘ব্লকচেইন ইন বাংলাদেশ: পলিসি রোডম্যাপ ফর ইনোভেশন অ্যান্ড অ্যাডাপ্টেশন’ শীর্ষক ওয়েবিনারে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা জানান তিনি।
২০২১ জিডিপিতে ৭.২ শতাংশ আসবে আইসিটি খাত থেকে
ওয়েব বৈঠকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে ব্লক চেইন গবেষণা ও উন্নয়নে আইসিটি বিভাগের স্টার্টআপ প্রকল্প থেকে সহায়তা করার ঘোষণা দেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী।
শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও ব্যবসায়ে কাটিং এজ টেকনলোজির ব্যবহারে নিশ্চিত করবে আইসিটি বিভাগ
বৈঠকে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নেদারল্যান্ডসের লাইডেন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের শিক্ষক ব্যারিস্টার মোরশেদ মান্নান, আইসিটি বিভাগের নীতি বিষয়ক উপদেষ্টা সামি আহমেদ প্রমুখ এই অনলাইন সভায় বক্তব্য রাখেন।
এছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহ-সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, ডাকসু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আরিফ ইবনে আলী অনলাইন এই বৈঠকে সংযুক্ত ছিলেন।
ওয়েবিনারটি সঞ্জালনা করেন ডাকসুর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক সম্পাদক শাহরিমা তাজনিন আর্নি এবং ডাকসুর ল অ্যান্ড পলিটিকস রিভিউ এর প্রধান সম্পাদক মোঃ আজহার উদ্দিন ভুঁইয়া।
বৈঠকে সামি আহমেদ জানান, প্রায়োগিক অবস্থা বিবেচনায় প্রণীত ব্লকচেইন নীতিমালাটি প্রয়োজনে পরিবর্তন ও পরিমার্জন হবে। দেশে ক্রিপ্টোকারেন্সির কেনা-বেচা নিষধ হলেও এ সংশ্লিষ্ট সল্যুশন তৈরিতে কোনো বাধা নেই।
অপরদিকে ডাকসু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আরিফ ইবনে আলী শিক্ষা ও শিল্পের সঙ্গে মেলবন্ধন রচনার পাশাপাশি শিক্ষব্যবস্থায় ব্লকচেইন প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। আর ব্যারিস্টার মোরশেদ মান্নান ব্লকচেইনের আইনি বিভন্ন জটিলতা ও এর সম্ভাবনা তুলে ধরে কোম্পানি আইনের সুনির্দষ্ট কিছু নীতি সংশোধনের ওপর দৃষ্টিপাত করেন।