প্রযুক্তি খাতে দেশের সক্ষমতা, দক্ষতা, হার্ডওয়্যার পণ্য উৎপাদনে সম্ভাবনা এবং কর্মপ্রচেষ্টার বাস্তবচিত্র তুলে ধরতে আজ সোমবার (১৪ অক্টোবর) থেকে শুরু হচ্ছে প্রথম ডিজিটাল ডিভাইস অ্যান্ড ইনোভেশন এক্সপো। দেশীয় প্রযুক্তির সমাহার দিয়ে এবারের প্রদর্শনীকে ভিন্ন আঙ্গিকে সাজানো হয়েছে। রাখা হয়েছে ৮টি জোন। দেশের তৈরি বিখ্যাত ল্যাম্বারগিনি গাড়ির আদলে তৈরি বৈদ্যুতিক গাড়ির দেখা মিলবে এক্সপোতে। থাকবে রোবট আঁকাসহ চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। প্রদর্শনীতে অভ্যাগতদের স্বাগত জানাবে প্রদর্শনীর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর শাহজালাল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তৈরি রোবট ‘লি’।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত প্রদর্শনীতে নিজেদের উৎপাদন ও উদ্ভাবনার পসরা নিয়ে হাজির হচ্ছেন দেশের ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তি পণ্য ও সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো। উপস্থাপন করা হচ্ছে হাই-টেক পার্ক এবং তথ্যপ্রযুক্তিতে উন্নয়ন কাঠামোর অগ্রগতিতে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার বাস্তব চিত্র।
‘মেড ইন বাংলাদেশ’ জোনে এক ছাদের নিচে সমবেত হয়েছেন দেশীয় প্রযুক্তি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন, সিম্ফোনি, রানার, আইটেল, স্যামসাং, ফেয়ার ইলেকট্রনিক্স ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান।
ইনোভেশন জোনে থাকছে নিত্য নতুন উদ্ভাবন। আইডিয়া প্রজেক্টের ৩০টি প্রজেক্ট, এটুআই এর ৩০ টি প্রজেক্ট এবং ২১ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবিত প্রযুক্তি দিয়ে সাজানো হয়েছে এই জোনটি। অ্যাক্টিভেশন প্রোগ্রামগুলো থেকে নির্বাচিত সেরা ৩০টি উদ্ভাবন এক্সপোতে প্রদর্শিত হচ্ছে।প্রদর্শনীটি শেষ হওয়ার পরে শীর্ষ ১০ তরুণ উদ্ভাবককে বঙ্গবন্ধু উদ্ভাবনী অনুদান (বিআইজি) দিয়ে ভূষিত করা হবে।
স্টার্টআপ জোনে নতুন উদ্যোক্তাদের এগিয়ে যাওয়ার প্রজেক্ট সম্পর্কে ধারণা পাবেন দর্শনার্থীরা। মেলার অন্যতম আকর্ষণ রোবোটিক জোন। এই জোনে শিক্ষার্থীদের তৈরি রোবটের পদচারণা থাকবে।
মঙ্গল অভিযাত্রা- মঙ্গলে যাওয়ার স্বপ্নকে সত্যি করতে এই প্রদর্শনীতে থাকবে মঙ্গলযাত্রার নিবন্ধন। ২০৪১ সালে মঙ্গলগ্রহে যাওয়ার পরিকল্পনাকে বাস্তবে রুপ দিতে এই জোন দর্শনার্থীদের আশার সঞ্চার করবে।
বিসিএস এক্সপো জোনে থাকছে তথ্যপ্রযুক্তির সকল হালনাগাদ পণ্য। স্বনামধন্য প্রযুক্তি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানরা তাদের সর্বশেষ প্রযুক্তি প্রদর্শন করবে। প্রযুক্তিপণ্য কেনার সুযোগ মিলছে এই জোনে। এই জোনে থাকছে ১১০ টি প্যাভেলিয়ন এবং স্টল। ১০০টির বেশি প্রতিষ্ঠানের (আসুস, এইচপি, ডেল, ইন্টেল, স্যামসাং ইত্যাদি) প্রযুক্তি পণ্যের সমাহারে সাজানো হয়েছে ।
থাকছে বিটুবি এবং মিডিয়া কর্ণার।
গেমারদের জন্য থাকছে গেমজোণে থাকছে নানা ধরণের উপহারের ছড়াছড়ি।
এক্সপোর দ্বিতীয় দিন দর্শনার্থীদের জন্য দেশের নাম করা ব্যান্ডের অংশগ্রহণে থাকছে কনসার্ট। তথ্যপ্রযুক্তিতে অবদান রাখার জন্য তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ, উদ্যোক্তাসহ বিভিন্ন বিষয়ে অবদান রাখা ব্যক্তিদের সম্মাননা প্রদান করা হবে।