কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা খাতে পিছিয়ে থাকতে চাইছে না অ্যালফাবেট ইনকর্পোরেটেডও। সেই সূত্রধরেই মঙ্গলবার গুগল তার নিজস্ব কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ‘বার্ড’কে সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য উন্মুক্ত করেছে। আপাতত পুরো বিশ্বের জন্য এটিকে উন্মুক্ত করা হয়নি। শুধু যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের ব্যবহারকারীরা অপেক্ষমাণ তালিকায় সাইন আপ করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন গুগল রিসার্চ বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট জোবিন গরমানি।
আর প্রোডাক্ট ডিপার্টমেন্টের ভাইস প্রেসিডেন্ট, সিসি সিয়াও সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘মানুষের উৎপাদনশীলতা বাড়াতে, তাদের ধারণাগুলোকে ত্বরান্বিত করতে এবং কৌতুহলকে আরও বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করতে এসেছে বার্ড।’
গুগলের তথ্যমতে, ২০২২ সালের প্রথম দিক থেকেই বার্ড নামের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাচালিত চ্যাটবট তৈরির কাজ করছিল গুগল। এই চ্যাটবটের ব্যবহার এত দিন পরীক্ষামূলক বা বেটা হিসেবে গুগলের প্রকৌশলী ও পরীক্ষকেরা ব্যবহার করছিলেন। চ্যাটবটটি ইংরেজি ভাষায় করা যেকোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবে। ফলে চ্যাটবটটি আলাদাভাবে ব্যবহার করা যাবে।
গুগল বেশ কয়েক বছর ধরেই লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল নিয়ে কাজ করছে। গত বছর তাদের বানানো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ‘ল্যামডা’ সংবেদনশীল কী না, তা নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক দেখা দিয়েছিল। সেই ল্যামডারই একটি ছোট সংস্করণ হলো ‘বার্ড’।
তবে শুরুতেই ধাক্কা খেয়েছিলো ওপেনএআইয়ের তৈরি কথোপকথন চালিয়ে যেতে সক্ষম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ‘চ্যাটজিপিটি’। টুইটারে শেয়ার করা প্রিরেকর্ডেড এক ভিডিও ক্লিপে মহাকাশে থাকা ‘জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ’ সম্পর্কিত একটি প্রশ্নের ভুল উত্তর দেয়ায় সে সময় গুগলের শেয়ারের দাম ১০০ বিলিয়ন ডলার কমে যায়। অবশ্য চ্যাটজিপিটির সবশেষ সংস্করণ ‘জিপিটি-৪’ ব্যবহারে এরই মধ্যে গ্রাহককে দিতে হচ্ছে ২০ ডলার করে। কম্পিউটার প্রোগ্রামারদের কাছে জনপ্রিয়তাও লাভ করেছে এটি।