ফাইভজি এবং ডাটা পরিচালিত অর্থনীতির অগ্রযাত্রায় যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে স্পেনের বার্সেলোনায় শেষ হয়েছে এ বছরের মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস। ২০২৪ সালের ২৬ থেকে ২৯ ফেব্রুয়ারি ফের বসবে মোবাইল ফোন প্রযুক্তির সবচেয়ে বড় এই আয়োজন ।
এবারের সম্মেলনের সমাপনী দিনে, ২রা মার্চ, যথারীতি প্রকাশ করা হয়েছে জিএসএমএ প্রতিবেদন। আয়োজক প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান হোসে মারিয়া আলভারেজ প্যালেট লোপেজ জানিয়েছেন, ২০২৯ সালের মধ্যেই বিশ্বের প্রভাবশালী প্রযুক্তিতে পরিণত হবে ফাইভজি। আর ২০৩০ সালের মধ্যে এই সংযোগে যুক্ত হবে বিশ্বের ৮৫ শতাংশ মানুষ।
তিনি জানান, ২০২৩ সালের মধ্যেই বিশ্বব্যাপী ফাইভজি সংযোগ ১৫০ কোটিতে পৌঁছাবে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে এই সংযোগের পরিমাণ কমপক্ষে ৫০০ কোটি হবে। ফাইভজি ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্ব অর্থনীতিতে আরও ১ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার (এক হাজার বিলিয়ন) যোগ করবে এবং প্রতিটি সেক্টরকে যুক্ত করবে। বিশেষ করে নাগরিক পরিষেবা এবং শিল্প উৎপাদন খাতে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখবে ফাইভজি। সার্বিকভাবে ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্ব অর্থনীতিতে টেলিযোগাযোগ খাতের অবদান ৬ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।
চার দিনের এই আয়োজন শুরু হয়েছিল গত ২৭ ফেব্রুয়ারি। মেলায় এবার অটোমেটেড টেলার মেশিন থেকে সরাসরি মোবাইল ফোন সংযোগের সিম কার্ড কেনার প্রযুক্তি দেখিয়েছে ফরাসি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান থেলস। বায়োনিক রোবট নিয়ে উপস্থিত হয়েছিলো শাওমি। সাইবারওয়ান নামে এই বায়োনিক কোয়াড্রপট রোবট বানিয়েছে সাইবারডগ।
শেষ দিন অ্যাপল আইফোন ১৪ প্রো-কে দেয়া হয় “সেরা স্মার্টফোন”-এর পুরস্কার। গ্লোমো পুরস্কারের তালিকায় ছিলো গুগল পিক্সে ৭ প্রো, নাথিং ফোন এবং স্যামংসাং গ্যালাক্সি জেড ফ্লিপ ও ফোল্ড ফোর। এবারের সম্মেলনে স্পেস এক্স এর সঙ্গে জোট বেঁধেছে টি মোবাইল। ভবিষ্যতের চিপে স্যাটেলাইট ডেটা সংযুক্তির ঘোষণা দিয়েছে মিডিয়া টেক। সম্মেলনে পুরস্কৃত হয়েছে গুগলের টেনসর ও চিপ, কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন এবং সনির IMX989 ক্যামেরা সেন্সর।
এছাড়াও স্যাটেলাইট যোগাযোগে “বেস্ট ইন শো” পুরষ্কারটি জিতে নিয়েছে মটোরোলা ডিফাই স্যাটেলাইট লিঙ্ক এর বুলেট। মিডিয়াটেক সিলিকন যুক্ত এই ডিভাইসটি মেঘমুক্ত আকাশে ব্লুটুথ ব্যবহার করে স্মার্টফোনের সাথে ইন্টারফেস তৈরি করে খুদে বার্তা পাঠাতে পারে।