১৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬:২০ মিনিটের দিকে সাতক্ষীরা সহ আশপাশের এলাকাগুলো থেকে এলাকাবাসী এক অদ্ভুত আলো দেখতে পান আকাশে। অনেকেই এটাকে এলিয়েন-এর যান মনে করেছেন। অন্যদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর এটাকে সূর্য ও মেঘের সংমিশ্রণের কারণে এমন দেখা যেতে পারে বলে উল্লেখ করেছেন।
কেউ আবার বলছেন, ১৪ ডিসেম্বর ঝুকিউ-টু নামের যে মিথেন-জ্বালানিযুক্ত রকেটযান প্রযুক্তির পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করেছে চীন; তার প্রভাবে এই অদ্ভুত আলোটি হতে পারে। কিংবা ২য় ধাপের লিফটিং সম্পন্ন করার সময় ব্যর্থ হওয়া সেই রকেট মিশনের দৃশ্য। অথবা ১৫ ডিসেম্বর অগ্নি ৫ নামের যে দূরপাল্লার মিসাইলের পরীক্ষা করেছে ভারত, হয়তো সেটাই ওই সময় দেখা গেছে সাতক্ষীরা থেকে।
“সাতক্ষীরার আকাশে এলিয়ান” নিয়ে বাংলাদেশে যখন কানাঘুষা চলছে; ঠিক তখনই যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনের জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তা রোনাল্ড মোলট্রি জানিয়েছেন, পৃথিবীতে এলিয়েন আসার কোনো প্রমাণ পায়নি তারা। কোনো ইউএফও পৃথিবীতে বিধ্বস্তও হয়নি।
অথচ ওইদিনই আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৪ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা আকাশে ১৪০ বারের বেশি ইউএফও দেখার দাবি করেছেন। এর মধ্যে ৮০টি বিভিন্ন সেন্সরে ধরা পড়ে।
এ নিয়ে সাংবাদিকদের রোনাল্ড মোলট্রি বলেন, ‘আমরা এখনও খুব প্রাথমিক অবস্থায় আছি, তবে আমরা তেমন কিছু দেখিনি যার মাধ্যমে আমরা বিশ্বাস করতে পারব যে এলিয়েন পৃথিবীতে এসেছিল।’
পেন্টাগনের নবগঠিত অল ডোমেইন অ্যানোমালি রেজ্যুলেশন অফিসের (এএআরও) পরিচালক সিন কির্কপ্যাট্রিক জানান, পৃথিবীর বাইরে অন্য কোনো প্রাণের অস্তিত্ব থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না। এ বিষয়ে বৈজ্ঞানিক গবেষণা চালানো হচ্ছে।
কির্কপ্যাট্রিক বলেন, ‘আমি শুধু বলব যে, আমরা আমাদের বিশ্লেষণ খুব পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে করছি।’
যুক্তরাষ্ট্রে ৫০ বছরে ধরে যত ইউএফও দেখা গেছে, তার ওপর চলতি বছরের মে মাসে প্রথমবারের মতো কংগ্রেসে উন্মুক্ত শুনানি হয়।
সে সময় কংগ্রেসের কয়েকজন সদস্য যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে দেখা ইউএফও রাশিয়া ও চীনের তৈরি কোনো প্রযুক্তি কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।