জনমত জরিপে হেরে গেলে টুইটারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) পদ থেকে পদত্যাগ করার ঘোষণা দিয়েছেন ইলন মাস্ক। সে লক্ষ্যে টুইটারে একটি ভোট আয়োজন করেছেন এই মার্কিন ধনকুবের। বিপক্ষে গেলেই সরে দাঁড়াবেন সিইও’র পদ থেকে।
সিইও পদ থেকে সরে দাঁড়াবেন কিনা, এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় রবিবার সন্ধ্যায় টুইটারে একটি ভোটের আয়োজন করেন টেসলার মালিক মাস্ক। তিনি বলেন, ফলাফল যাই হোক না কেন, মেনে নেবো।
শেষ পর্যন্ত দেখা গেছে, ইলন মাস্কের উচিৎ টুইটার প্রধানের পদ ছেড়ে দেওয়া। ভোটে তার বিপক্ষে পড়েছে ৫৮ শতাংশ ভোট; বিপরীতে পড়েছে ৪২ শতাংশ।
Should I step down as head of Twitter? I will abide by the results of this poll.
— Elon Musk (@elonmusk) December 18, 2022
মাস্কের জরিপে ভোট পড়েছে মোট পৌনে দুই কোটি। সোমবার গ্রিনউইচ মান সময় ১১টা ২০ মিনিটে জরিপের সময় শেষ হয়। তবে, জরিপের ফলাফল তাকে টুইটার প্রধানের পদ ছাড়তে বললে তিনি কী করবেন– তার বিস্তারিত জানাননি টুইটারের মালিক।
ভোটে হেরে গেলে দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে তিনি সিরিয়াস ছিলেন বলে খবর দিয়েছিলো বিশ্ব-গণমাধ্যমগুলো। তবে, টুইটারের সম্ভাব্য নতুন প্রধান নির্বাহী নিয়ে এক ফলোয়ারের প্রশ্নের উত্তরে মাস্ক বলেছেন, “এখনও কোনো উত্তরসূরী নির্বাচিত নেই।”
এরই মধ্যে টেসলা, যে কোম্পানির উদ্যোক্তা হিসেবেই সবচেয়ে বেশি পরিচিত মাস্ক, তার শেয়ার মূল্য বেড়েছে শতকরা পাঁচ ভাগের বেশি। টুইটারের পেছনে সময় দিতে গিয়ে মাস্ক টেসলাকে দরকারি সময় দিতে পারছেন না, এমন ভয় আগে থেকেই ছিল টেসলায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে।
একইভাবে নতুন জরিপ চালু করার কয়েক মিনিট আগেই নীতিমালা পরিবর্তন নিয়ে ক্ষমা চেয়ে মাস্ক টুইট করেন, “আগামীতে নীতিমালায় বড় পরিবর্তনের আগে ভোট নেওয়া হবে। আমি ক্ষমা চাইছি, আর এমনটি আর হবে না।”
নানা নাটকীয়তার মধ্যে দিয়ে গত অক্টোবরে ৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে টুইটার কেনে নেন ইলন মাস্ক। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে সাবেক সিইওসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের পাশাপাশি অনেক কর্মীকে বরখাস্ত করে বির্তকে জড়িয়ে পড়েন। টুইটারে আনেন ব্যাপক পরিবর্তন। সম্প্রতি কয়েকজন আন্তর্জাতিক সাংবাদিকের টুইটার অ্যাকাউন্ট স্থগিত করে নতুন করে আলোচনার জন্ম দেন তিনি।