চলতি বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে অনলাইন ভিডিও প্লাটফর্ম ইউটিউব থেকে ৫৬ লাখ ভিডিও মুছে দিয়েছে গুগল। এছাড়াও বাতিল করা হয়েছে ৫০ লাখ ইউটিউব চ্যানেল। এছাড়াও মুছে ফেলা ৯৪ শতাংশেরও বেশি ভিডিও মানুষের বদলে কম্পিউটার শনাক্ত করেছে।
ইউটিউবের তৃতীয় ত্রৈমাসিক কমিউনিটি গাইডলাইনস এনফোর্সমেন্ট প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে ইউটিউব তথা গুগল জানিয়েছে, মেশিন যে ভিডিয়োগুলোকে শনাক্ত করেছে তার মধ্যে ৩৬ শতাংশ কেউ দেখার আগেই সার্ভার থেকে ডিলিট করে দেওয়া হয়েছে। ৩১ শতাংশ ভিডিয়ো ১০জনের কম দেখার আগেই মুছে ফেলা হয়েছে।
মোট ডিলিট হওয়া ভিডিওর ৬৭ শতাংশ ১০ জন দেখার আগেই মুছে ফেলা হয়েছে। একই সময় প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারের নিয়মাবলী না মানার জন্য ৫০ লাখ চ্যানেল বাতিল করেছে ইউটিউব।
ইউটিউবের স্প্যাম পলিসি না মানার কারণে এর মধ্যে বেশিরভাগ ভিডিও ডিলিট করেছে ইউটিউব। কিছু ভিডিওর মেটাডেটাতে ভুয়া তথ্য ব্যবহার হয়েছিল। এছাড়াও ব্যবহৃত হয়েছিল ভুয়া থাম্বনেইল, প্রতারণামূলক কনটেন্ট। কিছু ক্ষেত্রে ভিডিওর নিচে কমেন্টেও স্প্যাম দেখা গিয়েছে।
ইউটিউব জানিয়েছে ২০২২ সালের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে ৭২ কোটি কমেন্ট ডিলিট করেছে ইউটিউব। এর মধ্যে সবই স্প্যাম।
তরুণদের অনেকেই এখন আয়ের প্রাথমিক উৎস হিসাবে বেছে নিচ্ছেন ইউটিউবেকে। এই পরিস্থিতিতে এই বিপুল পরিমাণ ভিডিও ও চ্যানেল নিষিদ্ধ হওয়ার কারণে সমস্যায় পড়তে পারে ইউটিউবাররা। কিন্ত ইউটিউবের পক্ষ থেকে কড়া ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে কোনও রকম নিময় লঙ্ঘন করলেই প্ল্যাটফর্ম থেকে ডিলিট করে দেওয়া হবে সংশ্নিষ্ট ভিডিও চ্যানেল অথবা কমেন্ট।