চলতি বছর বৈশ্বিক সার্ভার বাজারের আয় গত বছরের চেয়ে ১৭ শতাংশের বেশি বেড়ে ১১ হাজার ১৭০ কোটি ডলারে দাঁড়াবে। কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের গ্লোবাল সার্ভার সেলস ট্র্যাকার প্রতিবেদন অনুযায়ী, মহামারীর কারণে ২০২০ ও ২০২১ সালে আইটি অবকাঠামো নবায়ন ও উন্নয়নে ব্যয় কম থাকায় ওই দুই বছরে সার্ভার খাতের আয় কম ছিল। সরবরাহ চেইন সংকটের কারণে ২০২১ সালের দ্বিতীয়ার্ধে অ্যাকসেলারেটর চিপ থেকে পাওয়ার আইসির ভ্যালু চেইনে সমস্যা দেখা দেয়। চলতি বছরের প্রথমার্ধেও এর ধাক্কা অনুভূত হচ্ছে। তবে এ সময়ে সুপারকম্পিউটিং, এজ কম্পিউটিং ও ফাইভজি সংযোগের ওপর জোর দিয়ে বিনিয়োগ বাড়িয়েছে বৃহৎ প্রতিষ্ঠানগুলো। ডিজিটাল রূপান্তর ও ক্লাউডের ওপর জোর দেয়ার কারণে চলতি বছরে সার্ভার খাতে দুই অংকের প্রবৃদ্ধি হবে।
এ নিয়ে কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের রিসার্চ অ্যানালিস্ট আকশারা ব্যাসি বলেন, মূল্যস্ফীতি ও দ্রুত পরিবর্তনশীল পরিবেশে কোম্পানিগুলো তাদের অবকাঠামো শক্তিশালী করার ওপর জোর দিচ্ছে। অবকাঠামোর দিক থেকে ওয়েব ৩.০-এর চাহিদা বৃদ্ধি এতে ভূমিকা রাখছে। ডাটা বিবর্তনের চাহিদা পূরণ ও গ্রাহকদের ক্লাউড সেবার জন্য প্রস্তুত করতে আইটি অবকাঠামোয় বৈচিত্র্য আনার ক্ষেত্রে চাপের মুখে রয়েছে কোম্পানিগুলো।
ব্যাসি আরো বলেন, সার্ভার বাজারে নেতৃত্বের আসনে রয়েছে ডেল ও এইচপিইর মতো কোম্পানি। তবে লেনোভো, ইনস্পার ও সুপারমাইক্রোর মতো কোম্পানিও শক্তিশালী অবস্থানের চেষ্টা করছে।
এদিকে করোনা মহামারীতে বছর দুয়েক শ্লথগতির পর চলতি বছরে এ খাত বেশ চাঙ্গা হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। বর্তমানে হাইব্রিড ক্লাউড ব্যবস্থায় রূপান্তর ও বিদ্যমান অবকাঠামো নবায়নে নেয়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গৃহীত পদক্ষেপের ফলে সার্ভার খাতের আয় বাড়বে। এছাড়া ফাইভজি সেবার বিস্তার, গাড়ি শিল্প, ক্লাউড গেমিং ও উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কম্পিউটারের চাহিদা বৃদ্ধি ক্লাউড সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের ডাটা সেন্টার সম্প্রসারণে ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
বর্তমানে অ্যাজ-অ্যা-সার্ভিস ও পে পার ইউজ মডেলের সেবার বিস্তার সার্ভার বাজারের রূপান্তরে ভূমিকা রাখছে। এতে নেতৃত্ব দিচ্ছে এইচপিইর পয়েন্টনেক্সট, ডেলের এপেক্স ও লেনোভোর ট্রুস্ক্যালের মতো সার্ভার কোম্পানি। গ্রাহকদের ন্যূনতম অর্থ ব্যয় এ পরিষেবা গ্রহণে নমনীয়তার কারণে ব্যবসায়িক মডেল দুটি বেশ সফলতা দেখছে।