এতো দিন যুদ্ধক্ষেত্রে ড্রোন হামলায় মৃত্যুর খবর পেয়েছি আমরা। তবে এবার সুইডেনের ৭১ বছর বয়সী এক বৃদ্ধের জীবন বাঁচাতে ড্রোনের ব্যবহার প্রশংসনীয় খবর এলো বিশ্বগণমাধ্যমে।
বিবিসি’র খবরে বলা হয়েছে, গত ডিসেম্বর মাসে বাড়ির সামনের তুষারস্তুপ পরিষ্কার করতে গিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন সুইডেনের এক বৃদ্ধ। বৃদ্ধের জীবন রক্ষায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত চিকিৎসকের তাৎক্ষণিক প্রয়োজন ছিল ‘ডিফিব্রিলেটর’। আর তিন মিনিটের মধ্যেই সেই কাজটি করেছিলো অসামরিক ড্রোনের মাধ্যমে জরুরী স্বাস্থ্যসেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ‘এভারড্রোন’।
নিজস্ব ড্রোন প্রযুক্তির সাফল্য নিয়ে মন্তব্য করেছেন এভারড্রোন প্রধান নির্বাহী ম্যাটস সালস্টর্ম বলেছেন, “এটি এভারড্রোনের সর্বোন্নত ড্রোন প্রযুক্তির বাস্তব উদাহরণ”।
তিনি জানান, চার মাসের ইমার্জেন্সি মেডিকাল এরিয়াল ডেলিভারি পাইলট প্রকল্পে রোগীর হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যাওয়ার সতর্কতা সংকেত পেয়েছে ১৪টি। এরমধ্যে ১২টি ঘটনায় ড্রোন পাঠানো হয়েছিল। ১২বারের মধ্যে ১১বারই সফলভাবে ডিফিব্রিলেটর পৌঁছে দিয়েছিল ড্রোনগুলো। এর মধ্যে সাতবার অ্যাম্বুলেন্সের আগে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে তাদের ড্রোন।
জরুরী স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার চিন্তা থেকেই এভারড্রোনের ‘ইমার্জেন্সি মেডিকাল এরিয়াল ডেলিভারি (ইএমএডিই)’ সেবাটির প্রচলন। সাহায্য প্রার্থীর ঠিকানায় অ্যাম্বুলেন্স পৌঁছানোর আগেই তাৎক্ষণিক চিকিৎসেবার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ড্রোনের মাধ্যমে পৌঁছে দিতে সক্ষম সেবাটি।
‘সেন্টার ফর রিসাসিটেশন সায়েন্স অ্যাট ক্যারোলিন্সকা ইনস্টিটিউট’, ‘এসওএস অ্যালার্ম’ এবং ‘রিজিওন ভাস্ট্রা গোটাল্যান্ড’-এর যৌথ উদ্যোগে নির্মিত হয়েছে ওই ড্রোনগুলো।