বিদেশি মালিকানার তথ্যপ্রযুক্তি ও টেলিকম সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোর প্রতি কঠোর হচ্ছে জাপান সরকার। এর মাধ্যমে ঐসব মালিক বা কোম্পানি দেশটিতে ব্যবসায়ের বৈধতা হারাতে পারে। এছাড়া নতুন করেও মালিকানার ক্ষেত্রেও কড়াকড়ি আরোপ করছে দেশটি। খবর রয়টার্স।
সোমবার জাপান সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, সাইবার নিরাপত্তাজনিত কারণে জাপানের হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিতে বিদেশি মালিকানা নিষিদ্ধ করা হবে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ২০টি খাতে এই আইন প্রয়োগ করা হবে, অর্থ মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের যৌথ বিবৃতিতে এই কথা জানানো হয়েছে।
জাপানের একজন মন্ত্রী বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সাইবার নিরাপত্তার গুরুত্ব বেড়ে যাওয়ার কারণে আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে। ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট তৈরি থেকে শুরু করে দেশের জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে এসব ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
আগামী ১ আগস্ট থেকে এই আইন কার্যকর হবে। যদিও এই আইনে বিদ্যমান বিদেশি মালিকানার নির্দিষ্ট কোন কোম্পানি বা দেশের ক্ষেত্রে প্রভাব পড়বে সেটি উল্লেখ করেনি জাপান সরকার।
টোকিওতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে এর মধ্যকার একটি বৈঠক চলাকালীন এই ঘোষণা দিয়েছে জাপান সরকার। যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যেই হুয়াওয়েসহ চীনের কোম্পানির ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। যদিও হুয়াওয়ে এবং চীন অভিযোগের বিষয়টি জোরালোভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে।
জাপানের বৈদেশিক আমদানি ও বৈদেশিক ব্যবসায় নিয়ন্ত্রণ আইনে বলা হয়েছে, জাপানের নিবন্ধিত কিংবা অনিবন্ধিত কোনো কোম্পানিতে ১০ শতাংশ কিংবা তার বেশি শেয়ার থাকা বিনিয়োগকারীদের প্রতিবেদন প্রকাশ করতে হয়। যদি সরকার সেই প্রতিবেদনে কোনো সমস্যা পায় তাহলে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ পরিকল্পনা সংশোধনের নির্দেশনা কিংবা বাতিল করে দেয়। নতুন এই ঘোষণার ফলে অনেক বিদেশি বিনিয়োগকারী জাপানের বাজারে ব্যবসা হারাতে পারেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
ডিবিটেক/বিএমটি