সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ব্যবহারকারীরা গত কিছুদিন ধরেই একটি পোস্ট শেয়ার করে যাচ্ছে। সেই পোস্টে বলা হয়, “নতুন নীতিমালা অনুসারে ফেসবুকের প্রধান প্রতিষ্ঠান মেটা ব্যবহারকারীর যে কোনো ধরনের তথ্য অনায়াসে ব্যবহার করতে পারবে। এমনকি তারা ফেসবুক ভিত্তিক অ্যাপ মেসেঞ্জারের মুছে ফেলা বার্তাও অনুমতি ব্যতীত ব্যবহার করতে পারবে।”
তবে এই পোস্ট এবং পোস্টে থাকা সব তথ্যই সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং ভুয়া। ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ব্যবহারকারীদের তথ্য ব্যবহারের দাবির ব্যাপারটি গুজব ছাড়া আর কিছুই না। গত বছরও ফেসবুকে এমন একটি গুজব ছড়িয়েছিল।
ফেসবুক মুখপাত্রের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা এএফপি ফ্যাক্ট চেক বলছে, ছড়ানো খবরটি মিথ্যা, এমন দাবির কোনো ভিত্তি নেই।
থাইল্যান্ড ও লাওসে ফেসবুকের যোগাযোগ ব্যবস্থাপক মানাশুয়েন কোভাপিরাত এএফপি ফ্যাক্ট চেককে বলেছেন, ‘আমি নিশ্চিত করতে পারি, ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া বার্তাগুলো সত্য নয়।’
বাংলাদেশি ফেসবুক ব্যবহারকারীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়া ভিত্তিহীন বার্তার পোস্টটি হলো- “আগামীকাল থেকে নতুন ফেসবুক/মেটা নিয়ম শুরু হবে, যেখানে তারা আপনার ছবি ব্যবহার করতে পারবে। ভুলে যাবেন না, আজ শেষ দিন!” পোস্টে আরও বলা হয়, “ফেসবুক/মেটাকে তাদের ওয়েবসাইটে পোস্ট করা আমার তথ্য অন্য কোথাও শেয়ার করার অনুমতি দিচ্ছি না।” এরপর সতর্কতার অংশ হিসেবে সে বার্তা কপি-পেস্ট করে ফেসবুকেই আগাম জানিয়ে রাখতে বলা হয়।
বাংলাদেশ ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, নিউজিল্যান্ড, ইথিওপিয়া, সিঙ্গাপুর এবং থাইল্যান্ডেও এ ধরনের বার্তা ছড়িয়ে পড়তে দেখা যায়।
প্রসঙ্গত, গত অক্টোবরে ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মার্ক জাকারবার্গ জানান, ফেসবুক, মেসেঞ্জার, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ পরিষেবাগুলো মূল প্রতিষ্ঠানের নতুন নাম মেটার অধীনে আগের মতো পরিচালিত হবে।
তবে ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবহার নিয়ে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া বার্তাটি যে ভিত্তিহীন, সেটি নিশ্চিত করে ২৩ নভেম্বর এএফপিকে ফেসবুকের যোগাযোগ ব্যবস্থাপক (থাইল্যান্ড ও লাওস) মানাশুয়েন কোবাপিরাত বলেন, “ছড়িয়ে পড়া বার্তাটি যে সত্য না তা আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি।”