ডিজিটাল মুদ্রা ক্রিপ্টোকারেন্সি নিষিদ্ধ করতে আইন করতে যাচ্ছে ভারত। প্রস্তাবিত এই আইনে দেশটিতে ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবসায়, লেনদেন এমনকি এই ডিজিটাল সম্পদ কারো কাছে থাকলেও তাকে জরিমানা করা হবে। দেশটিতে যে লক্ষ লক্ষ বিনিয়োগকারী রেড-হট অ্যাসেট ক্লাসে প্রবেশ করছেন তাদের নিয়ন্ত্রণে এমন কঠোর আইনের করতে যাচ্ছে দেশটির সরকার।
সরকারের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সোমবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছেন, ক্রিপ্টোকারেন্সির বিরুদ্ধে এটি হতে যাচ্ছে বিশ্বের অন্যতম কঠোর নীতি।
এই বিলটির সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে সংশ্লিষ্ট ওই কর্মকর্তা বলেছেন, আইনে ক্রিপ্টো-সম্পদের মালিকানা, কাউকে দেয়া, বেচা-কেনা, মাইনিং এবং বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহার ও হস্তান্তরকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে।
পদক্ষেপটি জানুয়ারির সরকারী এজেন্ডার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যেখানে সরকারী ডিজিটাল মুদ্রার জন্য একটি কাঠামো নির্মাণের সময় বিটকয়েনের মতো ব্যক্তিগত ভার্চুয়াল মুদ্রা নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানানো হয়।
কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে বেসরকারি ক্রিপ্টোকারেন্সি নিষিদ্ধের পাশাপাশি সরকার নিজেই একটি ডিজিটাল কারেন্সি চালু করতে পারে বলে আভাস দিয়েছিলো ভারত সরকার। সরকারের মন্তব্য বিনিয়োগকারীদের আশা জাগিয়ে তুলেছিলো। ধারণা করা হচ্ছিল, বাজার প্রসারের স্বার্থে এই আইন কিছুটা শিথিল হবে। খবরে বলা হয়েছিলো, ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংকও ভারতীয় মুদ্রার ডিজিটাল সংস্করণ চালু করার কথা ভাবছে। এটিকে বলা হবে সেন্ট্রাল ব্যাংক ডিজিটাল কারেন্সি।
তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বলেছেন, সাংসদের এবারের বাজেট অধিবেশনেই ক্রিপ্টোকারেন্সি নিষিদ্ধকরণের জন্য একটি প্রস্তাব তোলার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। বিলটি ক্রিপ্টোকারেন্সি হোল্ডারদের ছয় মাস পর্যন্ত রুপিতে ভাঙ্গানো সময় দেবে। এরপর জরিমানা করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকার সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখায় বিলটি এখন সহজেই আইনে পরিণত হবে বলে আত্মবিশ্বাসী এই কর্মকর্তা বলেছেন, যদি এই নিষেধাজ্ঞা আইনে পরিণত হয়, তাহলে ভারত হবে প্রথম অর্থনীতিক শক্তির দেশ যারা ক্রিপ্টোকারেন্সি কে অবৈধ ঘোষণা করবে। যদিও দেশটির প্রতিবেশী অর্থনৈতিক ক্ষমতাধর দেশ চীন, ইতোমধ্যেই মাইনিং এবং ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ করলেও এই ডিজিটাল মুদ্রা নিজেদের কাছে রাখলে জরিমানা করে না।