হুয়াওয়ের পর ট্রাম্প প্রশাসনের নজর পড়েছে চীনের অপর শীর্ষ স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান শাওমির উপর। বৃহস্পতিবার ট্রাম্প প্রশাসন শাওমিসহ নয়টি কোম্পানিকে চীনের মিলিটারির সাথে সম্পর্কিত বিবেচনায় কালো তালিকাভুক্ত করেছে।
বর্তমানে বিশ্বের তৃতীয় সর্ববৃহৎ স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান শাওমি। যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ কালো তালিকাভুক্তির ফলে দেশটির কোনো বিনিয়োগকারী চীনের কোম্পানিটিতে বিনিয়োগ করতে পারবে না। এমনকি তালিকাভুক্ত নয়টি কোম্পানিতে কারো বিনিয়োগ থাকলে সেটি চলতি বছরের ১১ নভেম্বর এর মধ্যে তুলে নিতে হবে।
তবে আশ্চর্যের বিষয় হলো, এখন পর্যন্ত ট্রাম্প প্রশাসন চীনের মিলিটারির সাথে শাওমি কিংবা অন্য কোম্পানির সম্পৃক্ত থাকার কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করেনি। হটাৎ করেই অনেকটা গোপনেই নতুন এই তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
এর আগে টেলিকমিউনিকেশন ও সেমিকন্ডাক্টর খাতে হুয়াওয়ে, এসএমআইসিসহ ৬০ এর অধিক কোম্পানিকে কালো তালিকাভুক্ত করে প্রশাসন। সেই তালিকায় বিশ্বের সর্ববৃহৎ ড্রোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ডিজেআই রয়েছে।
তবে কোম্পানিগুলো লাইসেন্স ছাড়াই যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি আমদানি করতে পারবে। যদিও অনেকেই আশা বাঁধছেন আগামী ২০ জানুয়ারি বাইডেন প্রশাসন দায়িত্ব নিয়ে আদেশগুলো বাতিল হতে পারে। এখনও শুধু দেখার বিষয় কী আছে কোম্পানিগুলোর কপালে!
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের এই নিষেধাজ্ঞা’র ব্যাপারে শাওমি বাংলাদেশ কতৃপক্ষ জানিয়েছে -“শাওমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং বিদ্যমান সকল আইন মেনেই ব্যবসা পরিচালনা করে। শাওমি পুনর্ব্যক্ত করতে চায় যে তাদের পণ্য এবং পরিষেবা সর্ব সাধারণের বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্যই। শাওমি নিশ্চয়তার সাথে জানাতে চায় যে শাওমি চীনা সামরিক বাহিনীর মালিকানাধীন বা নিয়ন্ত্রিত নয় কিংবা তাদের সাথে কোন ভাবে সংশ্লিষ্ট নয়; না তারা মার্কিন সরকারের এনডিএএ আওতাধীন ‘কমিউনিস্ট চীনের সামরিক প্রতিষ্ঠান’। এমতাবস্থায় শাওমি তার ও তার শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থ রক্ষায় যথাযথ পদক্ষেপ নেবে।
শাওমি বর্তমান পরিস্থিতির প্রভাব ও পরিণতিগুলি পর্যালোচনা করছে। পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে প্রয়োজনবোধে শাওমির পক্ষ থেকে আগামীতে আরো বিস্তারিত জানানো হবে।
ডিবিটেক/বিএমটি