স্থায়ীভাবে বাতিল হয়ে গেলো মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের টুইটার অ্যাকাউন্ট। এক বিবৃতিতে টুইটার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে,বারবার সতর্কবার্তা দেয়ার পরও নিয়ম ভঙ্গ করায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বলা হচ্ছে, এই অ্যাকাউন্ট থেকে যে কোনো সময় ফের বিশৃঙ্খলার ঝুঁকি সৃষ্টি হতে পারে এমন শঙ্কায় এটি স্থায়িভাবে বাতিল করা হয়।
স্থায়ী বাতিলের আগে টুইটারে ট্রাম্পের অ্যাকাউন্টে ৮ কোটি ৮০ হাজার ফলোয়ার ছিলো।
ট্রাম্পের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট বাতিল করা হলেও প্রেসিডেন্ট অ্যাকাউন্ট খোলা থাকছে। তবে এটি অভিষেকের পরেই জো বাইডেনের কাছে চলে যাচ্ছে।
এর আগে উস্কানিমূলক বার্তা পোস্ট করায় ১২ ঘণ্টার জন্য তার অ্যাকাউন্টটি বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। তখনই বলা হয়, ফের নিয়ম ভঙ্গ করলে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করা হবে অ্যাকাউন্টটি।
এই ঘোষণার পরপরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করতে সামাজিক মাধ্যমগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন সাবেক ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা।
বৃহস্পতিবার টুইটারে এক পোস্টে মিশেল লিখেছিলেন, “সিলিকন ভ্যালির প্রতিষ্ঠানগুলোর এই দানবীয় আচরণ বন্ধ করার এখনই সময়। এমনকি এই প্ল্যাটফর্মগুলো থেকে এই লোকটিকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করাও যেতে পারে।”
এরপর তার অ্যাকাউন্ট খুলে দেয়া হলে টুইট বার্তায় ট্রাম্প লিখেছিলেন ‘জানুয়ারির ২০ তারিখের শপথগ্রহণ আনুষ্ঠানে আমি যাচ্ছি না।’
এদিকে ফেসবুকের সিইও মার্ক জুকারবার্গ জানান, ২০ জানুয়ারি জো বাইডেনের অভিষেক অনুষ্ঠান পর্যন্ত বন্ধ থাকবে ট্রাম্পের ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট। মূলত ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিদ্বেষপূর্ণ পোষ্টের কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকদের মারমুখী বিক্ষোভের মুখে গত ৬ জানুয়ারি রণক্ষেত্রে পরিণত হয় আইনসভা কংগ্রেসের ক্যাপিটল ভবন।
আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম ও ইউটিউব অ্যাকাউন্ট সাময়িক বন্ধ করে দেয়া হয়।