কোভিড-১৯ মহামারী বিশ্বব্যাপী ফ্যাশন ব্র্যান্ডের লাইন প্রদর্শনের পদ্ধতিতে একটি দারুণ পরিবর্তন এনেছে। জমকালো আয়োজনের ক্যাট ওয়ার্ক অথবা ফ্যাশন শো ছেড়ে নির্মাতারা ছুটছেন অনলাইনে।
এই যেমন- গত মাসে ইউটিউবে গ্রীষ্মকালীন কালেকশন উন্মোচন করেছিলো লাক্সারি ফ্যাশন হাউস বালেন্সিয়াগা।
আর আসছে শরত কিংবা শীতে বেশ কিছু মৌলিক ভিডিও গেমের সংগ্রহ উন্মোচন করতে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
এরমধ্যে আগামী ৬ ডিসেম্বর উন্মোচন করা হবে আফটারওয়ার্ল্ড: দ্য এজ অব টুমরো। গেমটি ওয়েব ব্রাউজারে খেলা যাবে।
ফার্মটি বলেছে, এই গেমের মাধ্যমে খেলোয়াড়রা একটি ভার্চুয়াল রাজ্যে বিচরণ করবে। গেমের টাস্ক শেষ করে নতুন লেবেলে গিয়ে নতুন নকশার পোশাক পরিহিত চরিত্রের সঙ্গে মিলিত হতে পারবে।
এর আগে গত সেপ্টেম্বর মাসে টুইচে সর্বশেষ সংগ্রহ উন্মোচন করেছিলো ফ্যাশন হাউজ বার্বেরি। সাত পর্বের মিনি ওয়েবে সিরিজে গায়ক হ্যারি স্টাইলসকে দিয়ে নতুন পণ্য দেখিয়েছিলো বিখ্যাত ব্র্যান্ড গুচি।
এপ্রিলে নিন্টেন্ডো সুইচ গেম- অ্যানিমেল ক্রসিং: নিউ হরিজনস গেমের মাধ্যমে নিজেদের পুরো স্ট্রিট ওয়্যার কালেকশন প্রদর্শন করে ১০০ থিভস।
এ বছর ভোক্তাদের অভ্যাস পরিবর্তনের পর অ্যামাজন তার মার্কেটপ্লেসে বিলাসবহুল ফ্যাশন ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে মনযোগী হয়েছে।
অবশ্য জাস্ট স্টাইলের তথ্য মতে, ব্রিটেনের মাত্র ৩২% ক্রেতা বিলাসবহুল স্টোরঅনলাইন আউটলেটের মাধ্যমে ফ্যাশন পণ্য কিনতে আগ্রহী। মাসের শুরুতে যুক্তরাজ্যের ২,০০০ ক্রেতার উপর করা জরিপে করে এই তথ্য দিয়েছে সংস্থাটি।
বিপনন বিশেষজ্ঞ অ্যান্থনি ব্লেকমোর বলেছেন,মহামারীর কারণে ব্র্যান্ড ধরে রাখতে অনলাইন ভোক্তাদের উত্তেজিত করার নতুন উপায় তৈরি করতে উদ্যোক্তাদের বাধ্য করেছে।
তিনি বিবিসিকে বলেন, “আমরা দেখছি ব্র্যান্ডগুলো ডিজিটাল প্রেক্ষাপট জুড়ে তাদের পণ্য প্রদর্শন এবং বিক্রি করার অভিনব পন্থা চালু করছে।
‘বালেন্সিয়াগার নতুন সংগ্রহের গ্যামিফিকেশন একটি চমৎকার উদাহরণ। উদ্ভাবনী ডিজিটাল বিপণন পদ্ধতি শুধুমাত্র কাপড় বিক্রি নয়, বরং উপভোগ্য ডিজিটাল অভিজ্ঞতা তৈরি করতে ব্যবহার করা যেতে পারে’- যোগ করেন তিনি।