প্রযুক্তি জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর কঠোর হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। এরই অংশ হিসেবে বাজারে ক্ষমতার অপব্যবহার রোধ ও ভারসাম্যপূর্ণ প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করতে ফেসবুক এবং গুগলের মতো প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোকে নতুন নীতিমালা মানতে নির্দেশনা দিয়েছে দেশটি। আর নির্দেশনা না মানলে নিয়ন্ত্রণে ভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি দিয়েছে দেশটির সরকার।
এ বিষয়ে প্রধান মন্ত্রী স্কট মরিসন বলেন, অস্ট্রেলিয়ান কম্পিটিশন অ্যান্ড কনজিউমার কমিশন (এসিসিসি) একটি আচরণ বিধি তৈরি করবে। বিজ্ঞাপন খাতে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর পোক্ত অবস্থান নিয়ে যে অভিযোগ রয়েছে এই আচরণ বিধির মাধ্যমে সেগুলো সমাধান করা হবে।মিডিয়া এবং বিজ্ঞাপন সেবার বাজারে প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে কর্তৃত্বের ভারসাম্য নিশ্চিত করবে এই নীতিমালা।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর আয়ের মূল উৎসই এই বিজ্ঞাপন উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, “ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম, সামাজিক মাধ্যমগুলো আমরা কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করছি, আমি চাই বিশ্বের সামনে তার একটি দারুন মডেল রাখতে।”
ভুয়া খবর এবং ঘৃণামূলক বক্তব্য বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে শুরু করে ইউরোপ এবং অন্যান্য দেশগুলো ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। এবারে অস্ট্রেলিয়ার এই পদক্ষেপ অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোর জন্য তৈরি নীতিমালার ফাঁকগুলো আরও কিছুটা চেপে ধরবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অস্ট্রেলিয়ান সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয় ২০২০ সালের নভেম্বরের মধ্যে নতুন নীতিমালা মানতে হবে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোকে। নয়তো তাদেরকে ‘নীতিমালা মানতে বাধ্য করা হবে’।
দেশটির অর্থমন্ত্রী জশ ফ্রাইডেনবার্গ বলেন, “প্রতিষ্ঠানগুলোকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। সরকার তামাশা করছে না। আমরা পদক্ষেপ নিতে দ্বিধা করবো না।”
গুগল এবং ফেসবুক উভয় প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বলা হয়, তারা বড় প্রতিযোগিতাকে সমর্থন করে এবং এসিসিসি’র সঙ্গে একাত্মভাবে কাজ করবে।
ফেসবুক এবং গুগল কঠোর এই নীতিমালার বিরোধীতা করলেও এটি সমর্থন করছে রুপার্ট মার্ডকের নিউজ কর্পোরেশনসহ প্রথাগত সংবাদমাধ্যম মালিকরা।
অস্ট্রেলিয়ার নেটওয়ার্ক ১০-এর প্রধান নির্বাহী পল অ্যান্ডারসন বলেন, “এটা দারুন যে সরকার অনলাইন প্রযুক্তি এবং স্ট্রিমিং জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর আধিপত্যের গোড়ায় পৌঁছাতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিচ্ছে।”