২০৪১ সাল নাগাদ স্মার্ট সরকার গড়ে তুলতে প্রযুক্তি ব্যবহারের পাশাপাশি সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে তাদের সহমর্মী করে তুলতে চায় সরকার এছাড়াও অন্তর্ভূক্তিমূলক উন্নয়নের জন্য এবার একটি স্মার্ট লিডারশিপ একাডেমি গড়ে তুলবে আইসিটি বিভাগ।
মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানে অনুষ্ঠিত স্বচ্ছতায় বাংলাদেশের ই-সরকার নীতিমালা নিয়ে অনুষ্ঠিত অংশীজন কর্মশালায় দেয়া বক্তব্যে এমনটাই জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সরকারের গৃহীত চারটি স্তম্ভের মধ্যে অন্যতম ই-গভর্নেন্স থেকে স্মার্ট গভর্নেন্স গড়ে তুলতে সরকার কাজ শুরু করেছে জানিয়ে প্রতিমেন্ত্রী বলেন, সরকারি সেবার ডিজিটাল রূপান্তরে সেবাগ্রহিতাদের সময়, ভিজিট ও খরচই কমেনি কমেনি; একইসঙ্গে ইন্টারনেট ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে সরকারের ব্যয় ও দুর্নীতি কমেছে। মৌলিক সফটওয়্যারগুলো প্রস্তুত থাকার কারণে কোভিডে নিজেদের সল্যুশন দিয়েই সচল থেকেছে বাংলাদেশ।
গত ১৪ বছরে সরকার কীভাবে সরকারি সেবাগুলোর ডিজিটাল উন্নয়ন করেছে তার বর্ণনা তুলে ধরে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী তিনি বলেছেন, লক্ষ্য পূরণে আমরা ব্যবসায়ী নেতা ও বেসরকারি খাতকে অংশীজন হিসেবে এগিয়ে গেছি। তাদের অংশীদারিত্ব ছাড়া লক্ষ্য পূরণ সম্ভব হতো না।
প্রতিমন্ত্রী জানান, স্মার্ট বাংলাদেশ রূপান্তরে স্মার্ট সরকার গঠনে অষ্টম পঞ্চ বার্ষিকী পরিকল্পনা তুলে ধরে ইউরোপীয় ইউনিয়ন সে প্রতিবেদন আজ দিয়েছে তাতে আমরা আশাবাদী। তাদের সঙ্গে মিলেই স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার সরকার গড়ে তুলতে সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে এগিয়ে যাবে সরকার।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইউরোপিয় ইউনিয়নের বাংলাদেশের হেড অব ডেলিগেশন চার্লস হোয়াইটলি। বাংলাদেশের ডিজিটাল প্রস্তুতি নিয়ে উপস্থাপনা পেশ করেন গোপা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড কনসালটেন্ট ড. সাদিক হাসান, দেবাশীষ নাগ এবং জন একহ্যানভ।
অনুষ্ঠানে আইসিটি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোস্তাফা কামাল উদ্দীন, স্মার্টআপ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামি আহমেদ, হাইটেক পার্ক কৃর্তপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচলক বিকর্ণ কুমার ঘোষ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
কর্মশালার দ্বিতীয় পর্বে অংশীজনদের আলোচনা এবং ইউরোপিয় ইউনিয়নের প্রতিবেদন গ্রহণ করে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, শিগগিরি বাংলাদেশ নিজস্ব একটি ওপেন এআই প্লাটফর্ম গড়ে তুলবে। একইসঙ্গে ডিজিটাল সেবা গ্রহণকে একটি অনন্য প্লাটফর্মে নিয়ে আসতে ইউনিভার্সেল ডিজিটাল আইডি চালু করতে এরই মধ্যে আইসিটি বিভাগের পক্ষ থেকে একটি সফট নকশাও প্রণয়ন করা হয়েছে।
এছাড়াও নাগরিকদের সক্ষমতা বাড়াতে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে পলক বলেছেন, আগামী তিন বছরের মধ্যে ৩ হাজার বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলবে সরকার।