২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নে সরকার কৃষকদেরও স্মার্ট করে তুলছে। সেলক্ষ্যে দেশের ৫০টি গ্রামে ২০ হাজার কৃষককে নিয়ে পাইলটিং শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এই প্রকল্পের অধীনে কৃষকেরা যন্ত্র ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে স্বল্প খরচে অধিক উৎপাদন করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রতিমন্ত্রী।
পলক বলেছেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের শক্তিশালী ভিতের উপর বাংলাদেশ দাঁড়িয়ে আছে। জননেত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ এর রুপকল্প প্রদান করেছেন। এই লক্ষ্যে দেশের সকল জনগোষ্ঠি স্মার্ট অর্থাৎ বুদ্ধিদীপ্ত হবে। কৃষকরাও স্মার্ট হবেন। তারা তাদের প্রতি ইঞ্চি জমি ব্যবহার করবেন, অল্প খরচে অধিক ফসল ফলাবেন।
নাটোরের সিংড়া উপজেলা হলরুমে কৃষক সমাবেশে কৃষকদের মাঝে কৃষি উপকরণ বিতরণকালে শনিবার এসব কথা বলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে ১০০ কৃষককে তাদের বাড়ির আঙ্গিনায় দেড় শতক জমি আবাদে ১২ প্রকার সব্জি বীজ, সাত প্রকার ফলের চারা, ৩৫ কেজি করে রাসায়নিক ও জৈব সার, সেচের জন্যে ঝাঁঝড়ি এবং নেট প্রদান করা হয়। এছাড়া বোরো ধানের প্রদর্শনীর জন্যে ১০০ কৃষককে সার প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্মার্ট সরকারের রূপকল্পের একটি প্রাঞ্জল চিত্র তুলে ধরেন জুনাইদ আহমেদ পলক। এসময় তিনি স্মার্ট কার্ড ব্যবহার করে ৬২ হাজার কৃষক অচিরেই স্মার্ট অর্থনীতিতে অবদান কীভাবে সংযুক্ত হবেন তাও তুলে ধরেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের দর্শন অনুসরণ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের মাটি আর মানুষের শক্তিকে কাজে লাগাতে চান। এদেশের সোনার মানুষ হচ্ছেন দেশের কৃষকরা। আর আমাদের মাটি হচ্ছে সোনাফলা মাটি। এই দুই শক্তিকে কাজে লাগাতে পারলে যে কোন দুর্যোগ, সংকট বা যুদ্ধ পরিস্থিতি মোকাবেলা করা সম্ভব হবে। তবে এজন্যে জননেত্রী শেখ হাসিনার মত দক্ষ নেতৃত্ব থাকতে হবে। তাই আগামী জাতীয় নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে দেশের উন্নয়ন ও মানুষের কল্যাণে কাজ করার সুযোগ করে দিতে হবে।
“২০২০ সাল থেকে যখন করোনা মোকাবিলা করতে হলো তখন বিশ্বের সকল ধনী রাষ্ট্র যারা অর্থনৈতিক ভাবে সমৃদ্ধ রাষ্ট্র তারাও কিন্তু খাদ্য উৎপাদন করা এবং খাদ্যের চাহিদা মেটাতে গিয়ে নাজেহাল হয়েছিল ঠিক সেই মুহূর্তে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সেই যে দর্শন মাটি এবং মানুষের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের প্রতিটি ইঞ্চি মাটিকে চাষাবাদ এনে উনি সতেরো কোটি মানুষের আহারের ব্যবস্থা করলেন। আর এই সোনার মাটিতে সোনার ফসল যারা রক্ত ঘাম দিয়ে পরিশ্রম দিয়ে আমাদের এই সতেরো কোটি মানুষের মুখে আহার তুলে দিচ্ছেন তারাই হচ্ছেন আমাদের সেই সোনার মানুষ আমাদের কৃষক ভাই বোনেরা। তাই আমি আজকে আমার এই সিংড়ার শস্য ভান্ডার, মৎস্য ভান্ডার, যারা তৈরি করেছে সেই কৃষক ভাই বোনদের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাই- যোগ করেন পলক।
উপজেলা কৃষি অফিসার সেলিম রেজার সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যান্যের বক্তব্য রাখেন- সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আল ইমরান, সিংড়া পৌরসভার মেয়র মো. জান্নাতুল ফেরদৌস এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট শেখ ওহিদুর রহমান।