ষষ্ঠ ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস পুরস্কার জিতেছে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে মোট ২৫ ব্যক্তি ও উদ্যোগ।
বেসরকারি উদ্যোগের মধ্যে পুরস্কার জিজতেছে
ই-ক্যাব এর উদ্যোগ ডিজিটাল পল্লী, ফুডপ্যান্ডা সহ প্রতিষ্ঠাতা আম্বারীন রেজা, গ্রামীণ জনগণের ক্লাুউড ভিত্তিক মেডিকেল সিস্টেম ফ্রেমওয়ার্ক উদ্যোগের জন্য এইমস ল্যাব প্রতিষ্ঠাতা খন্দকার অব্দুল্লাহ আল মামুন, আরএফআইডি প্রযুক্তি ব্যবহারকারী পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠান উর্মী গ্রুপ এবং কৃষি কাজের সেন্সো মিটার উদ্ভাবনে একুয়ালিংক।
অপরদিকে জাতীয় পর্যায়ে সাধারণ ব্যক্তিগত সরকারী উদ্যোগ ইরিগেটেড রাইস আ্যডভাইসরি সিস্টেম উদ্যোগের জন্য বিআরআইআই উধ্বর্তন কর্মকর্তা নিয়াজ মোঃ ফারহাত রহমান, আইসিটি শিল্প বিকাশে অগমেটিক্স বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু মুহাম্মাদ রাশেদ মুজিব নোমান, অনলাইন ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ উদ্যোগ, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অডিট ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার, ইআরপি’র বিদ্যুত বিভাগ, ভয়েজ অব ডটার উদ্যোগের জন্য পরিকল্পনা কমিশনের উপসচিব মরহুমা হাসিনা বেগম, ডিজিটাল পদ্ধতিতে তথ্য ব্যবস্থাপনার স্কেম ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টম সিমস এবং ডিজিটাল শুমারীর জন্য পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ এই পুরস্কার জিতেছে।
সোমবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ডিজিটাল পল্লী পরিবারের সদস্যদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পুরস্কার গ্রহণ করেন ই-ক্যাব সভাপতি শমী কায়সার। এসময় বাণিজ্য মন্ত্রাণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ আব্দুর রহিম খান, ইক্যাব সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মাদ আব্দুল ওয়াহেদ তমাল, সদস্য ইব্রাহীম খলিল ও মীর শাহেদ আলী।
বক্তব্য শেষে ট্যাবে আঙ্গুলের স্পর্শে রাজশাহীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাই-টেক পার্কে জয় সিলিকন টাওয়ার, বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল মিউজিয়াম ও সিনেপ্লেক্স এবং বরিশালে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পাশাপাশি কিউআর কোড ডিজিটাল বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার মূলনীতিঃ প্রগতিশীল প্রযুক্তি, অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নতি’ এবং শেখ কামালের গ্রাফিক নভেল‘ প্রকাশনারও মোড়ক উন্মোচন করেন সরকার প্রধান।
এরপর সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে মোট ২৫ ব্যক্তি ও উদ্যোগকে পুরস্কৃত করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে হ্যাট্রিক পুরস্কার গ্রহণ করেন ই-ক্যাব সভাপতি শমী কায়সার। এসময় বিজয়ী উদ্যোগ ডিজিটাল পল্লী’র জন্য দলগতভাবে পুরস্কার প্রপ্তদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ণিজ্য মন্ত্রাণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ আব্দু রহুম খান, ইক্যাব সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মাদ আব্দুল ওয়াহেদ তমাল, সদস্য ইব্রাহীম খলিল ও মীর শাহেদ আলী।
এছাড়ও অনুষ্ঠানে ফুডপ্যান্ডা সহ প্রতিষ্ঠাতা আম্বারীন রেজা, গ্রামীণ জনগণের ক্লাউড ভিত্তিক মেডিকেল সিস্টেম ফ্রেমওয়ার্ক উদ্যোগের জন্য এইমস ল্যাব প্রতিষ্ঠাতা খন্দকার অব্দুল্লাহ আল মামুন, আরএফআইডি প্রযুক্তি ব্যবহারকারী পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠান উর্মী গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসিফ আশরাফ এবং কৃষি কাজের সেন্সো মিটার উদ্ভাবনে একুয়ালিংক বাংলাদেশের সিটিও সৈয়দ রিজবান হোসেনকে পুরস্কৃত করা হয়েছে।
অপরদিকে জাতীয় পর্যায়ে ব্যক্তিগত সরকারী উদ্যোগ ইরিগেটেড রাইস আ্যডভাইসরি সিস্টেম উদ্যোগের জন্য বিআরআইআই উধ্বর্তন কর্মকর্তা নিয়াজ মোঃ ফারহাত রহমান, আইসিটি শিল্প বিকাশে অগমেটিক্স বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু মুহাম্মাদ রাশেদ মুজিব নোমান, অনলাইন ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ উদ্যোগ, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অডিট ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার, ইআরপি’র বিদ্যুত বিভাগ, ভয়েজ অব ডটার উদ্যোগের জন্য পরিকল্পনা কমিশনের উপসচিব মরহুমা হাসিনা বেগম, ডিজিটাল পদ্ধতিতে তথ্য ব্যবস্থাপনার স্কেম ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টম সিমস এবং ডিজিটাল শুমারীর জন্য পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ এই পুরস্কার জিতেছে।
একইভাবে অনুষ্ঠানে জেলা পর্যায়ে কুলাউড়ার উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মিঠুন সরকার, নৌ পথের জীবন রক্ষাকারী ডিভাইস তৈরীরর জন্য শিক্ষার্থী মাহির আশহাব লাবিব, অনলাইনে উত্তরাধিকার সনদ দেয়ায় রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ মিজনুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সমধি ও কবরস্থানের ডিজিটাল ব্যবস্থাপনার উদ্যোক্তা চৌধুরী তানভীর ইসলাম, বগুড়া পল্লী উন্নয়ন একাডেমী, দেশী হাট, ময়মনসিংহের ট্রজারি অটোমেশন, বাংলাদেশী মেডিকেল এ্যসিস্টেড রোবট সেবক শিক্ষার্থী শুভ কর্মকার, বিদেশি পর্যটকদের বান্দরবন ভ্রমণের অনলাইন সেবার ওয়েব বেজড সফটওয়ার, স্মার্ট হেলমেট উদ্যোগের জন্য মঈনুল হাসান সাদিক ও মোহাম্মাদ ওমর ফারুক, কুমিল্লার স্মার্ট শিক্ষা কার্যক্রম এবং মীনা গেমের জন্য রাইজ রাইজ আপ ল্যাবসের প্রতিষ্ঠাতা এরশাদুল হক পুরস্কার গ্রহণ করেন।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিভাগের জ্যষ্ঠ সচিব এন এম জিয়াউল আলম।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুকাতি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ কে এম রহমতুল্লাহ বলেন, আমাদের সকলের সঙ্কটের আশীর্বাদ ডিজিটাল বাংলাদেশ।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুরদর্শী চিন্তার বাস্তবায়ন হচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশ। আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদের নির্দেশনায় ২০২৫ সালের মধ্যে আইসিটি রপ্তানি ৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার পাশাপাশি ৩০ লক্ষ তরুন তরুনীর কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা হবে।
মন্ত্রী জানান, আইসিটি অবকাঠামো গড়ে ওঠার কারণে দেশের সফল সাড়ে ৬ লক্ষ ফ্রিল্যান্সার প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছে। ডিজিটালাইজড হয়েছে সরকারের ২ হাজার সেবা। যেখান থেকে প্রতিমাসে সেবা নিচ্ছেন দেশের এককোটি মানুষ। আর ৮ হাজার ৫০০টি ডিজিটাল সেন্টার থেকে প্রতিমাসে সেবা গ্রহণ করছে ৬০ লক্ষের বেশি মানুষ। মোবাইল ব্যাংকিংয়ে প্রতিমাসে লেনদেন হচ্ছে ৯২ কোটি টাকা। অন্যদিকে উদ্যোক্তা তৈরিতে ফান্ড প্রদান, মেইড ইন বাংলাদেশ পন্য উৎপাদন, সবার জন্য ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট, মানব সম্পদ উন্নয়ন, ই-গভর্নমেন্ট এবং আইসিটি ইন্ডাস্ট্রি প্রমোশন বাস্তবায়নের কারণে প্রতিনিয়ত শক্ত ভিত্তির উপর দাঁড়াচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশ। ধাপে ধাপে এগিয়ে যাচ্ছে স্মার্ট বাংলাদেশের অভিষ্ট্য লক্ষ্যে।