স্থানীয় উদ্ভাবনের স্বনির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার পথে এটুআই উদ্ভাবিত ‘ডিজি বক্স’ সেই সক্ষমতার স্বাক্ষর বহন করে বলে মনে করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
মঙ্গলবার আইসিটি টাওয়ারে ই-কমার্স প্লাটফর্ম দারাজ’র জন্য উদ্ভাবিত ডিজিবক্স উন্মোচন অনুষ্ঠানে এমন অভিব্যক্তি তুলে ধরেন তিনি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পলক বলেন, এটুআই প্রাথমিকভাবে এই বক্সটির ডিজাইন করেছে। এর প্রযুক্তি, সফ্টওয়্যার এবং হার্ডওয়্যার সম্পূর্ণরূপে “বাংলাদেশে তৈরি”। এতে অর্থায়ন করেছে ডিজিবক্স লিমিটেড। ডিজিবক্স এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যেন একবার ইনস্টলেশনে প্রতি বক্সে ৫০০-১০০ টাকার খরচ বাঁচিয়ে দিনে ৩০০ জন গ্রাহককে সেবা দেয়া যাবে; যা মাসে ৫ লাখ থেকে ৯ লাখ টাকা সাশ্রয় তরবে।
মন্ত্রী আরো বলেন,স্থানীয় ই-কমার্স খাতে আগামী বছর ২৬,০০০ কোটি টাকা বা ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। বর্তমানে দেশে প্রায় ২৫০০টি ই-কমার্স কোম্পানি এবং ফেসবুকে অন্তত ৫০ হাজার ব্যবসায়িক পেজ রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, দারাজ, বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম ই-কমার্স মার্কেটপ্লেস এবং ডিজিবক্স প্রকল্পের অংশীদার, প্রতিদিন এক লাখেরও বেশি অর্ডার করে। কুরিয়ার সার্ভিস কোম্পানি ইকুরিযার এখন প্রতি মাসে ৩ লাখের বেশি ডেলিভারি করে।
এটুআই প্রকল্প পরিচালক দেওয়ান মোহাম্মাদ হুমায়ুন, দারাজ গ্লোবাল সিইও মিকেলসন, দারাজ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা বিচারক মোস্তাহিদল হক এবং এটুআই একশপ হেড অব ডিজিটাল বিজনেস রেজওয়ানুল হক জামি উপস্থিত ছিলেন।