ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেছেন, আজকের তরুণ প্রজন্মকে পঞ্চম শিল্প বিল্পবে নেতৃত্ব দিতে হবে।এজন্য তাদেরকে ডিজিটাল দক্ষতা অর্জন করতে হবে। আমাদের তরুণ প্রজন্ম খুবই মেধাবি । তাদের হাত ধরেই বাংলাদেশ পঞ্চম শিল্প বিপ্লবের নেতৃত্ব দিবে। তিনি
মন্ত্রী শনিবার (১ অক্টোবর) রাতে ঢাকায় বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) বেসিস স্টুডেন্টস ফোরাম আয়োজিত বাংলাদেশে নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যানের মধ্যে সহসভাপতি আবু দাউদ খান, পরিচালক এ কে এম আহমেদুল ইসলাম এবং নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০২২–এর আহ্বায়ক ও বেসিস পরিচালক তানভীর হোসেন খান প্রমূখ বক্তৃতা করেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, পঞ্চম শিল্প বিপ্লবের মহাসড়ক ফাইভ জি যুগে আমরা প্রবেশ করেছি। আমাদের তরুণদেরকে ৫জির প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও ব্যবহার করতে হবে। বাংলাদেশ সামনের দিনে, মেশিন লার্নিং, রোবট কিংবা এআইসহ ডিজিটাল প্রযুক্তি কেবল ব্যবহারই করবে না, উৎপাদন করবে এবং রপ্তানিও করবে।
তিনি বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মকে অত্যন্ত মেধাবি উল্লেখ করে বলেন, মহাকাশ বিজ্ঞানের ছাত্র না হয়েও মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর অপারেশন কাজ আমাদের সন্তানরাই দক্ষতার সাথে পরিচালনা করায় উৎক্ষেপণের পর এক মিনিটের জন্যও সমস্যা হয়নি। ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের এই অগ্রদূত বলেন,বাংলাদেশ একটি জনবহুল দেশ, আমরা অতীতে তিনটি শিল্প বিপ্লব মিস করেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির হাত ধরে বাংলাদেশ অগ্রগতির প্রতিটি সূচকে অভাবনীয় সফলতা অর্জন করে বিশ্বে অনুকরণীয় দৃষ্টিান্ত স্থাপন করেছে।
নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিতা আয়োজনকে একটি মাইলফলক কাজ বলে উল্লেখ করেন বিসিএস ও বেসিস-এর সাবেক সভাপতি মোস্তাফা জব্বার। তিনি বলেন, সাত বছর আগে যে অভিযাত্রা বেসিস শুরু করেছিলো তা আজ আমাদের সন্তানদের প্রতিভা বিকাশের একটি বড় প্লাটফর্মে রূপান্তর লাভ করেছে। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা আয়োজিত বিশ্বের সবচেয়ে বড় এ হ্যাকাথন প্রতিযোগিতা বিশ্বের ৩১৩টি শহরে একই সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
মন্ত্রী এ ধরনের একটি আয়োজনের জন্য বেসিসসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে অভিনন্দন জানান।
নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জে এবার ১ কোটি শিক্ষার্থীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যুক্ত করার পাশাপাশি ২ লাখ শিক্ষার্থীদের সরাসরি ও প্রতিযোগিতায় যুক্ত করার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়।
এবার দেশের ৯টি শহর থেকে ২ হাজারেরও বেশি প্রতিযোগী অংশ নিয়েছে। সেখান থেকে শীর্ষ ১১০টি প্রকল্পের মধ্যে হাইব্রিড মডেলে শীর্ষ ৫০টি প্রকল্প নিয়ে ইন্ডিপেন্ডেট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (আইইউবি) -তে এবং বাকি ৬০টি প্রকল্প নিয়ে অনলাইনে অনুষ্ঠিত হয় দুই দিন ব্যাপী হ্যাকাথন।