নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার শেরকোল মৌজায় আজ থেকে শুরু হলো হাইটেক পার্ক নির্মাণের কাজ। রবিবার মোনাজাতের মাধ্যমে বৃক্ষ রোপন, বেলুন উড়িয়ে নির্মাণ কাজের ফলক উন্মোচন করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এছাড়া তিনি উক্ত কম্পাউন্ডে একটি আধুনিক সিনেপ্লেক্স এবং ডরমেটরি ভবনের ফলক উন্মোচন করেন।
ভারত সরকারের অর্থায়নে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের অধীন জেলা পর্যায়ে আইটি /হাইটেক পার্ক স্থাপন প্রকল্পের আওতায় এ হাই-টেক পার্কটি প্রায় ৯ একর জায়গার ওপর ১৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছ। এর মধ্যে ১৬০০ কোটি টাকা ভারত সরকার এবং ৪০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করছে বাংলাদেশ সরকার। এই হাই-টেক পার্কে থাকছে স্টিল স্ট্রাকচারের সাত তলা মাল্টিটেনেন্ট ভবন, তিন তলা ডরমেটরি ভবন, একটি সিনেপ্লেক্স ভবন, খেলার মাঠসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা। আগামী দুই বছরের মধ্যে পার্কের নির্মাণ কাজ শেষ হবে। পার্কটি চালু হলে প্রতিবছর ১ হাজার তরুণ প্রশিক্ষণ গ্ৰহন ও প্রত্যক্ষভাবে ৩ হাজার তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ,তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম,বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই-কমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা: বিকর্ণ কুমার ঘোষ , আইসিটি বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ, জেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ ।
অনুষ্ঠান শেষে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন এ হাই-টেক পার্ক নাটোরকে প্রযুক্তিসমৃদ্ধ জেলায় পরিণত করবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি হবে নাটোরের তরুণ প্রজন্মের কর্মসংস্থানের ঠিকানা। এছাড়া বাংলাদেশকে শ্রমনির্ভর অর্থনীতি থেকে জ্ঞান- নির্ভর, উন্নত অর্থনীতির স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই-কমিশনার শ্রী বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বলেন, নাটোর আইটি পার্কটি উচ্চপ্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন মানবসস্পদ তৈরিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের শুরু থেকেই অভিন্ন ইতিহাস, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের বন্ধনে আবদ্ধ। এই বন্ধন আগামীদিনে আরো সুদৃড় হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
পরে পার্কটির আঙ্গিনায় গাছের চারা রোপণ করা হয়।