ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করার জন্য করা হয়নি জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, মামলা এস্টাবলিশ হলে বা কোর্ট যদি মনে করে যে এটা অত্যন্ত গর্হিত কাজ হয়েছে, তাহলে সে রকম পদক্ষেপ নেবে। আর যদি মনে করে যে, না সমন জারি করলেই যথেষ্ট তাহলে সমন জারি করবে। কিন্তু তাই বলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ‘বাতিল প্রজেক্ট’ হবে, এটা কোনোভাবে আমি সমর্থন করবো না।
মঙ্গলবার (২৪ মে) রাতে রাজধানীর বনানীতে হোটেল পার্লে সাংবাদিকদের সংগঠন ল’ রিপোর্টার্স ফোরাম (এলআরএফ) আয়োজিত সংগঠনটির নতুন কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানে এমন অভিম ব্যক্ত করেছেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, প্রযুক্তির উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে কিছু সমস্যারও সৃষ্টি হয়েছে। এর একটি হচ্ছে সাইবার ক্রাইম। আমাদের এই সাইবার ক্রাইমও মোকাবিলা করতে হবে। এখন পেনাল কোডের অনেক অপরাধ আছে যেগুলি আর ফিজিক্যালি করা হয় না, কম্পিউটারের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি করা হয়।
এছাড়াও ওটিটি প্ল্যাটর্ফম নিয়ে নীতিমালা করার পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
আনিসুল হক বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট হওয়ার পর কিছু মিস ইউজ যে হয়নি তাতো না। এজন্য ২০১৯ সালে একটি সেল গঠন করা হয়েছে।
এ সময় মন্ত্রী এলআরএফ থেকে প্রথমবারের মতো দেওয়া ‘এলআরএফ বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড’ তুলে দেন তিন সাংবাদিকের হাতে।
পুরস্কার পাওয়া তিন সাংবাদিক হলেন- টেলিভিশন শাখায় মাছরাঙা টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিবেদক নূর সিদ্দিকী ও প্রিন্ট মিডিয়া শাখায় দৈনিক আমাদের সময়ের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মো. কবির হোসেন এবং অনলাইন মিডিয়া শাখায় জাগো নিউজের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মুহাম্মদ ফজলুল হক মৃধা।
এলআরএফের বিদায়ী সভাপতি মাশহুদুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ ইয়াছিন ও নতুন সাধারণ সম্পাদক আহামেদ সরোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- আইন সচিব মো. গোলাম সারওয়ার এবং যুগ্ম-সচিব (প্রশাসন) বিকাশ কুমার সাহা, এলআরএফের নতুন সভাপতি আশুতোষ সরকারসহ নতুন ও বিদায়ী কমিটির নেতা এবং ফোরাম সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।