বাংলাদেশে ডিজিটাল পাওয়ার সল্যুশন ও উন্নত ক্লাউড সেবা নিয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করতে চায় হুয়াওয়ে। এজন্য ভবিষ্যতে রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট খাতে প্রতিষ্ঠানটি ধারাবাহিকভাবে বিনিয়োগ বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে।
সোমাবার (২৮ মার্চ) হুয়াওয়ে ২০২১ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এ প্রতিবেদনে গত বছর প্রতিষ্ঠানটির দৃঢ়ভাবে কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়টি উঠে এসেছে। ভবিষ্যতে কীভাবে হুয়াওয়ে আইসিটি খাতকে সামগ্রিক কল্যাণে কাজে লাগাতে এগিয়ে আসবে সে বিষয়েও আলোকপাত করা হয়েছে।
বার্ষিক প্রতিবেদন উন্মোচন উপলক্ষে ঢাকায় একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য তুলে ধরেন হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্যান জুনফ্যাং। এছাড়াও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ বোর্ড অব ডিরেক্টর জেসন লিজংশেং, চিফ টেকনিক্যাল অফিসার কেভিন স্যু, পাবলিক এফেয়ারস অ্যান্ড কমিউনিকেশনস ডিরেক্টর ইউয়িং কার্ল ও অন্যান্য কর্মকর্তারা।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২১ সালে হুয়াওয়ের আয় হয়েছে ৮ দশমিক ৬৫ ট্রিলিয়ন (প্রায় ১০০ বিলিয়ন ডলার)। যেখানে নিট মুনাফা ১ দশমিক ৫৪ ট্রিলিয়ন (১৭ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন ডলার)। এ অর্জন বিগত বছরের তুলনায় ৭৫ দশমিক ৯ শতাংশ বেশি। ২০২১ সালে রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বাবদ প্রতিষ্ঠানটির খরচ হয়েছে প্রায় ২ ট্রিলিয়ন (২২ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার)। যা প্রতিষ্ঠানটির মোট রাজস্বের ২২ দশমিক ৪ শতাংশ। পাশাপাশি বিগত ১০ বছরের বেশি সময়ে প্রতিষ্ঠানটির রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বাবদ খরচ হয়েছে ১১ দশমিক ৪৮ ট্রিলিয়নের (১৩২ দশমিক ৬৬ বিলিয়ন ডলার) বেশি।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনায় প্যান জুনফ্যাং ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নযাত্রায় হুয়াওয়ের অংশ নেওয়ার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, গত ২৩ বছর ধরে হুয়াওয়ে বাংলাদেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এ সময়ে বাংলাদেশ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিখাতে অনেক এগিয়েছে। এ উত্তরণের সঙ্গী হতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত। বাংলাদেশের সামনে অমিত সম্ভাবনা। সেক্ষেত্রে ইনোভেশন, লোকালাইজেশন ও কোলাবোরশনের মাধ্যমে আমরা কাজ করে যেতে চাই।
তিনি বলেন, এর মধ্যেই হুয়াওয়ের ক্লাউড সার্ভিস সারাবিশ্বে পঞ্চম ও চীনে তৃতীয় অবস্থান অর্জন করেছে। পাশাপাশি ডিজিটাল পাওয়ার সেক্টরে কাজ করে যাচ্ছে হুয়াওয়ে। বাংলাদেশের ময়মনসিংহ সোলার প্ল্যান্টে হুয়াওয়ের স্মার্ট ফটোভোলটিক সল্যুশন ব্যবহার করা হয়েছে। চলতি বছর বাংলাদেশে এ খাতগুলোতে আরও বেশি সহযোগী হয়ে উঠতে চায় হুয়াওয়ে।