ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমেই দেশের কৃষকেরা সব রকম সুবিধা পাচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অনলাইন ও মোবাইল সুবিধার পাশাপাশি উন্নত ফলনশীল ও বৈরী পরিবেশ সহনশীল ফসল উৎপাদনে ৫৫১টি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা হয়েছে। সেচ খরচ কমাতে সৌর বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কৃষি যান্ত্রিকীকরণে ব্যাপক পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে বিশ্ব খাদ্য দিবস-২০২০ উপলক্ষে কৃষি মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক আন্তর্জাতিক সেমিনারে যুক্ত হয়ে এসব তথ্য জানান তিনি।
ডিজিটাল পদ্ধতিতে কৃষককে সব ধরনের সহযোগিতা নিশ্চিত করতে সরকারের নেয়া নানা উদ্যোগ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বর্তমান বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশ। আমরা এখন ডিজিটাল পদ্ধতিতে কৃষক যাতে সব ধরনের সহযোগিতা পায় তার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপও নিয়েছি।”
“মোবাইল ফোন আগে মানুষের হাতে ছিলো না। আমরা উন্মুক্ত করে দিয়েছিলাম। আজকে সকলের হাতে মোবাইল ফোন। কৃষকের হাতেও এখন মোবাইল ফোন। তারা যদি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ছবি তুলে কী ধরনের সহায়তা দরকার তা যেন পান তার ব্যবস্থা করা হয়েছে”- যোগ করেন সরকার প্রধান।
সরকার প্রধান আরো বলেন, “এর মাধ্যমে জমি ভেদে কোনো ধরনের শস্য-সার ব্যবহার, মাটি গবেষণার সুযোগ তৈরি করা হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এসব সুবিধা কৃষকরা পাচ্ছেন। এই সুবিধাটা আমরা অনলাইনে, ডিজিটাল পদ্ধতিতে তাদেরকে দিয়ে যাচ্ছি। চাইলে কৃষি বাতায়ন, কৃষক বন্ধু ফোন সেবা কিংবা ৩৩৩-১ এ ফোন করে কৃষক যে কোনো সমস্য হলে সমাধান পেতে পারে। কৃষি জানালা, কৃষি কল সেন্টার ১৬১২৩ এ ফোন করে তথ্য প্রাপ্তির সুবিধা আমরা সৃষ্টি করে দিয়েছি।”
শেখ হাসিনা বলেন, “কৃষকদের সহযোগিতার অধীনে ২ কোটি ১০ লাখ কৃষক ‘উপকরণ কার্ড’ পাচ্ছে। এই কার্ডের মাধ্যমে তাদের টাকাটা সরাসরি ব্যাংকে চলে যায়। তাদের জন্য ১০ টাকা দিয়ে ব্যাংক হিসাব খোলার সুযোগ করে দিয়েছি। ১ কোটি ২ লাখ ৭৯ হাজার ১৪৩ জন কৃষকের এখন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। এই কার্ডের মাধ্যমেই তারা তাদের অর্থ পেয়ে যাচ্ছে। তাদেরকে কারো কাছে ধর্ণা দিতে হয় না এই অর্থের জন্য। ”
কৃষি মন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। খাদ্য মন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী শম রেজাউল করিম, কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেগম মতিয়া চৌধুরী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
অনুষ্ঠানে বিশ্ব খাদ্য সংস্থার (এফএও) মহাপরিচালক কিউ ডংইউ-এর পূর্বে ধারণকৃত একটি ভাষণ প্রচার করা হয়। কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মেসবাউল হাসান অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের কৃষিক্ষেত্রের সাফল্যের ওপর একটি ভিডিও চিত্রও প্রদর্শিত হয়।