সাইবার হামলা মোকাবেলায় নিরপত্তা ঝুঁকি পরীক্ষার পাশাপাশি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার প্রতি গুরুত্বারোপ করেছে সিটিও ফোরাম বাংলাদেশ। শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) নিত্য নতুন সাইবার আক্রমণ প্রতিরোধের প্রস্তুতি বিষয়ক ওয়েবিনারে এই পরামর্শ দিয়েছেন বক্তারা।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাইবার সিকিউরিটি সেন্টারের পরিচালক জনাব মারুফ হাসান। তিনি বলেন, সাইবার সিকিউরিটি তে থ্রেট আসলে তখন কোনো পদক্ষেপ কাজে লাগে না, আগের থেকে কোনো ব্যাবস্থা বা প্রস্তুতি গ্রহন না করলে বড় ক্ষতির আশংকা রয়েছে।
সিটিও ফোরাম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলীর সঞ্চালনায় ওয়েবিনারে সভাপতির বক্তব্যে তপন কান্তি সরকার বলেন, সাইবার সিকিউরিটি মোকাবেলার ক্ষেত্রে নিজেদেরকে সক্ষম করে তোলার কোনো বিকল্প নেই, এর জন্য প্রতিষ্ঠান গুলো নিজদের জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কোর্স চালু করেতে পারে, এসময় তিনি বলেন যদি প্রতিষ্ঠান গুলো চায় তবে সিটিও ফোরাম তার যে অত্যাধুনিক ল্যাব ও রিসোর্স পার্সন রয়েছে তার মাধ্যমে এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চালাতে সহায়তা করতে পারে।
আলোচনায় অংশ নিয়ে সিটিও ফোরামের সহ-সভাপতি এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক জাকির হাসান সাম্প্রতি কালের সাইবার থ্রেট মোকাবেলায় সরকার এবং বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে যে ব্যাবস্থা গুলো নেয়া হয়েছে এবং অন্যান্য ব্যাংক গুলোর দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ায় যে বড় ক্ষতি এড়ানো গেছে তার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
তার সাথে একমত প্রকাশ করে ইসলামি ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং সিটিও ফোরামের সহ-সাধারন সম্পাদক তাহের আহমেদ চৌধুরী বলেন প্রতিটি লেয়ারে সিকিউরিটি প্রদান করা না গেলে সম্পুর্ন ব্যাবস্থাই ভালনারেবল থেকে যাবে।
আলোচ্য বিষয়ে ব্র্যাক ব্যাংকের সিটিও ওয়াসি নোমান বলেন, সাইবার ওয়ার্ল্ডে এখন সবাই একে অপরের সাথে যুক্ত, নিজে শুধু সিকিউর হলেই হয় না যদি না যুক্ত অন্য প্রতিষ্ঠান গুলো ও সঠিক পদক্ষেপ গ্রহন করেন। এক্ষেত্রে তিনি সিটিও ফোরাম কে ধন্যবাদ জানান এরকম একটি প্লাটফর্মে সকল সিটিও দের একত্রিত করে এই গুরুত্ব পূর্ণ বিষয়টি উপস্থাপনের জন্য।
প্রাইম ব্যাংকের তথ্য নিরাপত্তা বিষয়ক প্রধান মাহাবুবুল আলম রাফায়েল বলেন, ব্যাংকে সাইবার হামলা চালিয়ে সরাসরি লাভবান হওয়া যায় তাই ব্যাংক গুলো সব সময় প্রধান টার্গেট থাকে, এজন্য ব্যাংকে নিজেদের কর্মীদের পাশাপাশি গ্রাহকদের ও সচেতন করতে হবে।