প্রি-সিড রাউন্ডে বিদেশী এবং স্থানীয় বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ১৫ লাখ ডলার বিনিয়োগ পেলো আপন বাজার। যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক ভেঞ্চার ক্যাপিটাল প্রতিষ্ঠান “ভিলেজ ক্যাপিটাল অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট” সহ বেশকয়েকটি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি এই পরিমাণ অর্থ আপন বাজারে বিনিয়োগ করেছে।
বুধবার রাতে রাজধানীতে কেক কেটে এই বিনিয়োগ উদযাপন করা হয়। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে সঙ্গে নিয়ে কেক কাটেন আপন বাজার সিইও সাইফ রশিদ। এসময় বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান ও স্টার্টআপ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামি আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আইসিটি ও আইটিইএস খাত থেকে আমাদের রফাতানি আয় হয়েছে ১.৯ বিলিয়ন ডলার। আগামী বছরের মধ্যে আরো ১ বিলিয়ন বিনিয়োগ করা হবে। সেই হিসেবে এক হাজার ভাগের এক ভাগ আজ যুক্ত হলো। আরো খোঁজখবর করছি কিভাবে বিদেশি বিনিয়োগ আনা যায়। এভাবে প্রতিদিন লক্ষ্যে এগিয়ে যাবো।
পলক বলেন, দেশে ইন্টারনেট আছে বলে আপন বাজার অ্যাপ ৩২টি কারখানায় ১ লাখ ৭৫ হাজার শ্রমিককে সেবা দিচ্ছে। আপনের সাফাল্য এখন জনগণ ও সরকারের সাফল্য। আমি চাই আপন পোশাক শিল্প থেকে বেরিয়ে ট্যালেন্ট ও প্রযুক্তি দিয়ে বাংলাদেশের বাজারে রেভ্যুলেশন ঘটাবে।
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক আরও বলেন, আগামী ৫ বছরে আমাদের লক্ষ্য হবে আইসিটি খাতে বিনিয়োগ বাড়ানো, রপ্তানি আয় বাড়ানো এবং স্মার্ট কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। রপ্তানি আয় ২০২৮ সালের মধ্যে ৫ বিলিয়নে নিতে চাই। আইটি খাতে ১ বিলিয়ন ডলারের বেশি আনবো। নতুন করে ১০ লাখ কর্মসংস্থান তৈরি করবো।
সামি আহমেদ বলেন, সহযোগিতা, সংযুক্তি ও উদ্ভাবনের ফলে আজকের অগ্রগতি হয়েছে। আমার বিশ্বাস আপনটেক তাদের কাজের প্রতিটি দিকে এই মূল্যবোধ মেনে চলে। সামাজিক প্রভাব রাখা এবং টেকসই বিনিয়োগ দক্ষতায় আমরা তাদের নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হোসেন বলেন, আপন বাজার যেভাবে শ্রমিকদের জন্য ন্যায্যমূল্যে পণ্য দিচ্ছে, সেই উদ্যোগ আরও বড় হবে বলে আশা করছি। এখন যে কয়টা কারখানায় তারা পণ্য সরবরাহ করছে, সেই সংখ্যা আরও বাড়বে। একসময় এটি কারখানার বাইরে বিভিন্ন এলাকাতেও হবে বলে আশা রাখি।
আপন বাজারের প্রধান নির্বাহী সাইফ রশিদ বলেন, এই বিনিয়োগ আমাদের লক্ষ্য এবং বাংলাদেশের শিল্প শ্রমিকদের জন্য আর্থিক অন্তর্ভুক্তি আরও উন্নত করার প্রত্যয়ে আমাদেরকে আরও শক্তিশালী করে। এই বিনিয়োগে বাংলাদেশে এক বিপ্লবী আর্থিক ইকোসিস্টেম তৈরিতে পরিবর্তন আনতে এবং প্রযুক্তির শক্তির স্বাক্ষী।
প্রসঙ্গত, আপন বাজার নিম্ন আয়ের শ্রমিক বিশেষ করে নারীদের স্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক কল্যাণে কাজ করছে। বিভিন্ন শিল্প কারখানায় আপন বাজারের দোকান থেকে শ্রমিকরা গ্রসারি পণ্যের কেনাকাটায় বিভিন্ন সুবিধা উপভোগ করেন।