জাপানে বাংলাদেশের আইসিটি রফতানি ৩০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে ১২০ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন দেশটির বাণিজ্যমন্ত্রী নিশিমুরা ইয়াসুতোশি (Nishimura Yasutoshi)।। অদূর ভবিষ্যতে এই আয় বিলিয়ন ডলারে পৌঁছানোর আশা করে বাংলাদেশ থেকে দক্ষ জনশক্তি, বিশেষত আইটি প্রকৌশলীদের নিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তিনি।
রোববার দুপুরে রাজধানীর হোটেল সোনাগাঁওয়ে জাপানি বাণিজ্য মন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের কাছে এই আগ্রহ প্রকাশ করেছেন জাপানের বাণিজ্যমন্ত্রী।
বৈঠক শেষে প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেছেন, স্মার্টআপ, হার্ডওয়্যার ও দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচিতে বিনিয়োগ পেতে আগামী সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে বাংলাদেশ থেকে একটি বাণিজ্য প্রতিনিধি দলেকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন জাপানের বাণিজ্যমন্ত্রী । আর জাপানি কোম্পানিগুলোর আর অ্যান্ড ডি হাব হতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ।
তিনি আরো জানিয়েছেন, ৭টি বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। এরমধ্যে সফটওয়্যারের পর বাংলাদেশের হার্ডওয়্যার খাতে এবং সম্ভাবনাময় স্টার্টআপ খাতে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন জাপানের বাণিজ্য মন্ত্রী। এছাড়ও দেশটি জনঘাটতি মেটাতে বাংলাদেশের ফ্রেশ গ্র্যাজুয়েটদের এআই, রোবটিক্স মাইক্রোচিপ ডিজাইন এবং সাইবার সুরক্ষায় প্রশিক্ষণ দিয়ে তা পূরণ করার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। পাশাপাষি হাইটেক পার্কে বাংলাদেশ-জাপান আইটি ইনস্টিটিউট ও ইনকিবেশন সেন্টার স্থাপন করা হবে। আর এসব বিষয়ে চূড়ান্ত যৌথ অংশীদারিত্বে জাপান সফর করবেন তারা।
প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, সনি’র পর হিটাচি, তোশিবা,টয়োটা, নিশান ও কাওয়াসাকি বাংলাদেশে তাদের গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্র খুলবে। সফটওয়্যার খাতে জাপান বাংলাদেশের জন্য ষষ্ঠ রপ্তানি কারক দেশ হিসেবে আরো বেশি মনোযোগী হবে সরকার। পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকেই জাপানি সার্ভিস ইন্ডাস্ট্রিবে বাংলাদেশ থেকে সেবা দেয়া হবে।
তিনি বলেন, ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে এই বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার রাখবে।
এসময় জাপানের অর্থনীতি, বাণিজ্য এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের ওভারসিজ এনার্জি ইনফ্রাস্ট্রাকচার অফিসের পরিচালক উমেদা হিদেয়ুকি (UMEDA Hideyuki), ট্রেড পলিসি ব্যুরোর মহাপরিচালক মেতসুউ টেকেহিকো (MATSUO Takehiko), বাণিজ্য নীতি ব্যুরোর দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়া অফিসের পরিচালক, মুরায়ামা কাতসুহিকো (Murayama Katsuhiko), বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি (Iwama Kiminori), প্রথম সচিব হারুতা হিরোকি (Haruta Hiroki) এবং আজুমায়া কেনজি (Azumaya Kenji)সহ আইসিটি বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।