ডেনমার্ক প্রস্তাবিত ‘ডিজিটালাইজেশন অব আইল্যান্ডস এলং বে-অব বেঙ্গাল এন্ড হাওড় এরিয়া প্রকল্পের’ মাধ্যমে বাংলাদেশের দুর্গম দ্বীপ ও হাওড় অঞ্চলের গ্রামীন জনগোষ্ঠীর মাঝে উচ্চগতির ইন্টারনেট ভিত্তিক সেবা প্রদানে ১০০ মিলিয়ন ইউরো ব্যয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি ইসরাফ পিটারসন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সাথে আজ (২৩ জুন) আইসিটি টাওয়ারে মতবিনিময় কালে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।
এ সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেনমার্কের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর জেকব কাল জেপসন, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগমসহ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে তারা দুই দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে বিশেষ করে ডিজিটালাইজেশন অব আইল্যান্ডস এলং বে-অব বেঙ্গাল এন্ড হাওড় এরিয়া প্রকল্পের বিভিন্ন দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
বৈঠকে জানানো হয় এই প্রকল্পে সাবমেরিন ফাইবার অপটিক ব্যবহারের মাধ্যমে দুর্গম অঞ্চলসমূহে সংযোগ স্থাপন করে সেবা পৌছে দেয়া হবে। উপকূলীয় হাওড় ও দেশের উত্তর-পূর্ব দ্বীপ অঞ্চলে ফাইবার অপটিক্যাল সংযোগের মাধ্যমে উচ্চগতির ইন্টারনেট ও ই-সার্ভিসের মাধ্যমে গ্রামীন আর্থ সামাজিক উন্নয়নে ব্যপক অবদান রাখবে।
এ প্রকল্পের মাধ্যমে ১০০ টি আইসিটি রিসোর্স সেন্টার তৈরি করা হবে ও বিদ্যালয়সমূহে শিক্ষার্থীদের জন্য ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হবে এবং প্রযুক্তির মাধ্যমে স্থানীয় সমস্যা সমাধানের পথ খুজে বের করা যাবে।
বেঠকে আরো জানানো হয় এই প্রকল্পে স্থাপিত অবকাঠামোর মাধ্যমে হাওড় ও দ্বীপাঞ্চলের কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও সংস্থাসমূহের সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌছে যাবে এবং এর মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্য, কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এবং আর্থ সামাজিক অবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে ২০২১ সালে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালে জ্ঞাননির্ভর সমাজ তথা ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে লক্ষ্যে মানব সম্পদ উন্নয়ন, কানেকটিভিটি, ই-কর্মাস ও ইন্ড্রাস্ট্রি প্রমোশন এ ৪টি স্তম্ভ উপর ভিত্তি করে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশে বিনিয়োগে চমৎকার পরিবেশ বিরাজ করছে উল্লেখ করে তিনি ডেনমার্ককে আইসিটিসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের আহবান জানান। হাই-টেক পার্কসহ বিভিন্ন অর্থনৈতিক অঞ্চল বিনিয়োগকারীদের জন্য শুল্ক মওকোপসহ বিভিন্ন সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন। রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যতে উন্নয়নের অংশীদার হিসেবে পাশে থাকার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।