টেলিকম সেবা নিয়ে রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (আইইবি) অডিটরিয়ামে‘ টেলিযোগাযোগ সেবা ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার কার্যক্রম’ শীর্ষক এই গণশুনানি হয় আজ ( ১২ জুন) ।
বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হকের উপস্থিতিতে গণশুনানি পরিচালনা করেন সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের মহাপরিচালক এবিএম হুমায়ুন কবির।
সেবার মান, কল ড্রপ, ভয়েস কল ও ইন্টারনেটের বিভিন্ন প্যাকেজ ও মূল্য নিয়ে অসোন্তষ প্রকাশ করেছেন অধিকাংশ গ্রাহক। গ্রাহককের বিভিন্ন অভিযোগ শুনে এই সকল প্রশ্নের উত্তর দিয়ে থাকে থাকেন বিটিআরসি’র বিভিন্ন কর্মকর্তা।
সবশেষ বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হক সকল বিষয় নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে গ্রাহকদের স্বার্থ রক্ষার্থে আমরা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন বন্ধপরিকর।
দেশের জিডিপিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে চলেছে টেলিযোগাযোগ খাত এবং দেশের ১৬ কোটি মধ্যে মানুষের মধ্যে প্রায় ১৬ কোটি ফোন গ্রাহকের হাতে। গ্রাহক বাড়ায় অভিযোগও বাড়ছে। ২০০১ সালে যখন এই খাত হয়নি তখন কমিশন থেকে ইনকাম ছিল মাত্র ৩ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। এখন ইনকাম হয় ১০ হাজার কোটি টাকা। যে খাত এগিয়ে যাবে তার সমস্যা কিছু থাকবেই। এই সমস্যা সমাধানে আমরা কাজ করছি।
তিনি আরো বলেন, আগে সপ্তাহে ৫ দিন ৮ ঘণ্টা করে ফোনের মাধ্যমে অভিযোগ নেয়া হতো, এখন গ্রাকদের কথা মাথায় রেখে আমরা ২৪ ঘণ্টা সেবা দিবো। আগে শুধু ভয়েসকলের মাধ্যমে অভিযোগ নেয়া হত এখন ওয়েবসাইটের মাধ্যমেও অভিযোগ নেয়া হবে।
আরো বলেন, আজকের গণশুনানিতে আমরা কিছু অভিযোগ ও মতামত শুনলাম। কিছু অভিযোগের বিষয় এখানেই সমাধানের কথা বলা হয়ছে। আর বাকিগুলো আমরা তদন্ত করে দ্রুতই এর সমাধান দেয়া হবে।
মোবাইল অপারেটরদের উদ্দেশ্য করে বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান বলেন, আজকের গণশুনানিতে সকল টেলিকম প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীরা উপস্থিত আছেন, আপনারা শুনছেন গ্রাহকগণ কি কি সমস্যায় আছে। আশা করি এইগুলো সমাধানেও আপনারাও কাজ করবেন। অনেকের বলেন আমরা আপনাদের হয়ে কাজ করি। আসলে আমরা আইন যেভাবে চলতে বলে আমরা সেভাবেই কাজ করি।
গণশুনানিতে অনেকেই ফোরজি নিয়ে অভিযোগ করেন, অভিযোগের বিষয়ে চেয়ারম্যান বলেন, অনেকে বলছে ফোরজি পান না, আসলে এখনো তো সব জায়গায় ফোরজি পাওয়ার কথা না। ফোরজির কাজ একটা সিস্টেমে এগোবে। প্রথমে বিভাগীও, তারপর জেলা, উপজেলা এই ভাবে এগিয়ে যাবে ফোরজির কাজ এর জন্য সময় দিতে হবে।
বাংলাদেশে রেডিয়েশন নিয়ে ভয় পাবার বিছু নাই বলেও জানান বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, অনেকেই রেডিয়েশন নিয়ে অনেক ধরনের কথা বলে থাকে। আসলে এই নিয়ে ভয় পাবার কারণ নাই, কারণ বাংলাদেশে রেডিয়েশন অনেক নিচে আছে।
উল্লেখ্য, টেলিযোগাযোগ সেবা এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থার কার্যক্রম নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো গণশুনানির আয়োজন করল বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।