মোহাম্মদপুর পরিবারসহ থাকেন মেহেদী হাসান। পরিবারকে ভালো রাখতে রাতে বাইক চালান। দুই বছর আগে কিছু জমানো টাকা দিয়ে বাইক কিনেন মেহেদী। অ্যাপের মাধ্যমে ভাড়ায় বাইক চালান তিনি। তুলনামূলকভাবে কম যানজট এবং রৌদ্রের তীব্রতা থেকে বাঁচতে রাতেই বাইক চালাতেন মেহেদী হাসান ।
চলতি মাসের ৪ তারিখ অনুমানিক রাত ৩.১০ মিনিটের দিকে এক যাত্রীকে কল্যাণপুরে পৌঁছে দিয়ে বাসায় ফিরছিলেন মেহেদী হাসান। শ্যামলী এলাকায় দুজন পথচারী তার বাইকের সামনে দৌঁড়ে এসে অনুরোধ করে, তাদের একজন বন্ধু বাড্ডা এলাকায় এক্সিডেন্টে করেছে। চালকে তারা অনুরোধ করে সেখানে পৌঁছে দেওয়ার জন্য।
মেহেদী হাসান দুজনের একজনকে ‘পাঠাও কল’ দিতে বলেন। দুজনে জানায় ‘এক্সিডেন্টের কথা শুনে তারা তড়িঘড়ি করে বাসা থেকে বের হয়ে এসেছে। যে মোবাইল নিয়ে এসেছে, তাতে ইন্টারনেট কানেকশন নেই’।
মানবিক দিক বিবেচনা করে দুজনকে বাইকে উঠতে বলেন মেহেদী হাসান। রাত অনুমানিক ০৩.৩০ এর দিকে উত্তর বেগুনবাড়ি সংলগ্ন হাতিরঝিল থানাধীন বায়তুল নূর জামে মসজিদের সামনে পৌঁছাতেই বুকের ডানপাশে ধারালো কিছুর স্পর্শ টের পান তিনি। নিমিষেই তাকে নামতে বলা হয় বাইক থেকে। ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে কেড়ে নেওয়া হয় তার মানিব্যাগ, মোবাইল, মোটর বাইক, মোটর বাইকের পেপারস, ড্রাইভিং লাইসেন্স, হ্যান্ডব্যাগ সব কিছু। চোখের সামনে ছিনতাইকারীরা তার সর্বস্ব নিয়ে চলে যায়।
মেহেদী এই বিষয়ে থানায় একটি অভিযোগ করেন। তার অভিযোগের ভিত্তিতে তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদারের তত্ত্বাবধানে তেজগাঁও শিল্পানচল জোনের এডিসি হাফিজ আল ফারুকের নেতৃত্বে এসি মঈনুল ইসলাম, হাতিরঝিল থানার ইন্সপেক্টর (অপারেশন) গোলাম আজম ও এএসআই তরিকুল ইসলামের একটি টীম গত ২৬ নভেম্বর ঢাকা জেলার সাভার থানার আমিনবাজার এলাকা থেকে সুজন এবং দারুস সালাম থানার ঈদগাহ এলাকা থেকে রাব্বিকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত সুজন ও রাব্বি’র স্বীকারাক্তিতে ২৭ নভেম্বর ছিনতাইকৃত মোটর বাইকসহ অন্যান্য মালামাল উদ্ধার করা হয়। সূত্র: ডিসি তেজগাঁ এর ফেসবুক পেজ থেকে।