টানা পঞ্চমবারের মতো বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস), বেসিস স্টুডেন্টস ফোরামের সহযোগিতায় নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০১৯ এর আয়োজন শেষ হলাে।
রবিবার (২০ অক্টোবর) ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি)-তে সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের ৯ টি শহর থেকে ১৫ টি প্রকল্পকে পুরস্কৃত করা হয়।
টানা ৩৬ ঘণ্টার এই হ্যাকাথনের সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহামেদ পলক। আরো উপস্থিত ছিলেন, ম্যাক্স গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আজাদুল হক, বেসিসের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ফারহানা এ রহমান, নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জের উপদেষ্টা মোহাম্মদ মাহদী-উজ-জামান, আয়োজনের আহ্বায়ক দিদারুল আলম।
অনুষ্ঠানে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ১০ বছর আগেও দেশে গবেষণার ক্ষেত্র ছিল না, এখন ক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে। আমরা প্রযুক্তি আমদানী করবাে না, প্রযুক্তি উদ্ভাবন করবাে।
তিনি বলেন, অনেক দেশ থেকে আমরা কিছু কিছু বিষয়ে পিছিয়ে আছি, কিন্তু ২০৪১ সালের মধ্যে ডিভাইস, অ্যাপ, আইডিয়া নিজেদের থাকবে।
হ্যাকাথনে অংশগ্রহণকারী সকলের উদ্দেশ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, তোমরা যারা এখানে অংশগ্রহণ করেছো তাদের জন্য আইসিটি বিভাগের দরজা সব সময় খোলা।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্র্রেশন-নাসা আন্তর্জাতিকভাবে বিশ্বের ২৭৩টি শহরে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে, যেখানে বেসিস বাংলাদেশের ৯টি শহরে (ঢাকা, চট্রগ্রাম সিলেট, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, রংপুর, ময়মনসিংহ এবং কুমিল্লা) এ আয়োজন করে।
আয়ােজকরা জানান, নাসা স্পেম অ্যাপস চ্যালেঞ্জে এবার ১ কোটি শিক্ষার্থীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যুক্ত করার পাশাপাশি ২ লাখ শিক্ষার্থীদের সরাসরি এ প্রতিযোগিতায় যুক্ত ছিল।
এবার ৯টি শহর থেকে ৪ হাজারেরও বেশি প্রতিযোগী অংশ নিয়েছে। সেখান থেকে শীর্ষ ৪৫টি প্রকল্পকে নিয়ে ১৯-২০ অক্টোবর টানা দুইদিনব্যাপী হ্যাকথন অনুষ্ঠিত হয়।