ভুল তথ্য, ভুয়া নিউজ ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করা এই যুগের প্রযুক্তিবিদদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডাক্তার মো: মুরাদ হাসান।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট হলরুমে আয়োজিত ‘স্মার্ট সিটি ইনিসিয়েটিভস-বাংলাদেশ’ দুই দিনব্যাপী সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এই কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, যুগের পরিবর্তনের সাথে সাথে আধুনিক নগরের সংজ্ঞা পরিবর্তন হচ্ছে। বর্তমানে আধুনিক শহর বলতে অবকাঠামোগত উন্নয়নকে বুঝায় না। আধুনিক শহর হলো স্মার্ট সিটি। স্মার্ট টেকনোলজির প্রধান উপাদান তথ্য এবং তথ্যর উপযুক্ত ব্যবহার। আমরা এখন প্রতিদিন বিশাল তথ্য ভান্ডার তৈরি করছি।
তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, তথ্য সংগ্রহ এবং অ্যানালাইসিসের জন্য ব্যয় হচ্ছে বিশাল অর্থ। আইওটি ডিভাইস থেকে যে তথ্য উৎপাদন হচ্ছে তা সংগ্রহের জন্য প্রয়োজন হার্ডওয়্যার ইনফ্রাস্ট্রাচার।
তিনি বলেন, নতুন ব্লকচেইন টেকনোলজি সেবা এই তথ্য খাতে এনে দিয়েছে বিপ্লবী সম্ভবনার সুযোগ। এই যুগের প্রযুক্তিবিদদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে এর অপব্যবহার। ইনফরমেশন সিকিউরিটি মেন্টেনেসের দিকেও আমাদের নজর দিতে হবে। ভুল তথ্য, ভুয়া খবর ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করা এই যুগের প্রযুক্তিবিদদের জন্যও বড় চ্যালেঞ্জ। প্রযুক্তির ব্যবহারে চিকিৎসা খাতে অমূল পরিবর্তন সম্ভব। স্মার্ট ওয়াচ দিয়ে আমরা চিকিৎসার নানা সেবা পেয়ে থাকি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাহাব উদ্দিন, ডিএমপির এডিসি নাজমুল ইসলাম, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া টেক এর ইসিই বিভাগের প্রফেসর ড. সাইফুর রহমান, আইইইই স্মার্ট সিটিজ্ স্টিয়ারিং কমিটি মেম্বার ড. রামাকৃষ্ণ কাপ্পাগানতু, ইন্সটিটিউট অব নিউক্লিয়ার পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং, বুয়েটের প্রফেসর ড. শেখ আনোয়ারুল ফাত্তাহ এবং আইইইই বাংলাদেশ সেকশনের চেয়ার ড. সেলিয়া শাহনাজ প্রমুখ।
‘স্মার্ট থিঙ্কিং এন্ড স্মার্ট টেকনোলজি ফর এচিভিং এ স্মার্ট সিটি ফর বাংলাদেশ’ স্লোগানে বাংলাদেশে স্মার্ট সিটি বাস্তবায়নের কারিগরি ও নীতি নির্ধারনীমূলক দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলনের আয়োজন করেছে ইন্সটিটিউট অব ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারস (আইইইই) বাংলাদেশ।
সারা দেশ থেকে আগত আইইইই বাংলাদেশ সেকশনের টিম প্রধান, অ্যাম্বেসেডারগণ ও টিম-সদস্যগণ স্মার্ট-সিটি ধারণার প্রধান দিকগুলো, যেমন- ইলেকট্রিসিটি এন্ড পাওয়ার, ট্রান্সপোর্টেশন, এডুকেশন, ইনফরমেশন, কম্যুনিকেশন, সিক্যুরিটি, হেলথকেয়ার, ইন্ডাস্ট্রি ও হাউজিং, এবং এনভায়রনমেন্ট বিষয়ের ওপর আলোকপাত করেন বক্তারা। সম্মেলনে দেশ-বিদেশের ৩২ জন বক্তা উপস্থিত ছিলেন।