স্পাইওয়্যার বা নজরদারিসামগ্রী অপব্যবহারকারীদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে এ নীতি ঘোষণা করেন।
ঘোষণায় বলা হয়েছে, স্টেট ডিপার্টমেন্ট এক নতুন নীতি বাস্তবায়ন করছে, যা বাণিজ্যিক স্পাইওয়্যারের অপব্যবহারের সঙ্গে জড়িতদের ওপর ভিসা বিধিনিষেধ আরোপের অনুমতি দেবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, নতুন এই নীতি বাণিজ্যিক স্পাইওয়্যারের অপব্যবহার রোধে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাপক প্রচেষ্টার অংশ। এর আগেও বাণিজ্যিক স্পাইওয়্যার ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে নির্বাহী আদেশ জারি করেছিল যুক্তরাষ্ট্র সরকার।
বিবৃতি অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বজুড়ে বাণিজ্যিক স্পাইওয়্যারের ক্রমবর্ধমান অপব্যবহার নিয়ে উদ্বিগ্ন। কারণ এর মাধ্যমে সহজে দমন-পীড়ন চালানো যায়, তথ্যের অবাধ প্রবাহ সীমিত করা যায় এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন করা সহজ হয়।
বাণিজ্যিক স্পাইওয়্যারের অপব্যবহার ব্যক্তির গোপনীয়তা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও মেলামেশাকে হুমকির মুখে ফেলে বলে মনে করে যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতার পক্ষে দাঁড়িয়ে বাণিজ্যিক স্পাইওয়্যার অপব্যবহারের সঙ্গে জড়িতদের জবাবদিহির আওতায় আনতে কাজ চালিয়ে যাবে।
যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন ও জাতীয় আইনের ধারা ২১২ (এ) (৩) (সি) অনুসারে, স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে সাংবাদিক, অ্যাকটিভিস্ট, ভিন্নমতাবলম্বী হিসেবে বিবেচিত অন্যান্য ব্যক্তি, প্রান্তিক সম্প্রদায়ের সদস্য বা দুর্বল জনগোষ্ঠী বা ভুক্তভোগীর পরিবারের কাউকে লক্ষ্যবস্তু করে নির্বিচারে বেআইনিভাবে নজরদারি, হয়রানি, দমন বা ভয় দেখানোর জন্য কেউ প্রমাণিত হলে, তার ওপর ভিসা নীতি আরোপ করতে পারবে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর।
ডিবিটেক/বিএমটি