শাওমির আপকামিং ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোন অর্থাৎ শাওমি ১৪ সিরিজ এই বছরের বহু প্রতীক্ষিত স্মার্টফোনগুলোর মধ্যে অন্যতম। যা অক্টোবর মাসের শেষের দিকেই বাজারে পা রাখবে বলে জল্পনা শোনা যাচ্ছে। অফিশিয়াল উন্মোচনের কয়েক সপ্তাহ আগেই এখন টিপস্টার সূত্রে বেস শাওমি ১৪ মডেল সম্পর্কে কিছু আশ্চর্যকর নতুন তথ্য সামনে এসেছে।
চীনা টিপস্টার ডিজিটাল চ্যাট স্টেশন (ডিসিএস) সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন যে, বর্তমানে শাওমি ১৪-এর একটি নতুন পিঙ্ক কালার ভ্যারিয়েন্ট গণ উৎপাদনের পর্যায়ে রয়েছে, যার বাহ্যিক লুকটি অত্যন্ত আকর্ষণীয় বলে মনে হচ্ছে। শাওমি ১৪ সিরিজের প্রো ভ্যারিয়েন্টের মতো এর স্ক্রিনেও ১ মিলিমিটারের বেজেল দেখা যাবে।
টিপস্টার আরও দাবি করেছেন যে শাওমির “নতুন অপারেটিং সিস্টেম মসৃণতার ওপর ফোকাস করে”। এই মন্তব্যটি সম্ভবত এমআইওএস এর সম্পর্কে করা হয়েছে। জানিয়ে রাখি, এমআইওএস-কে শাওমির নতুন কাস্টম অপারেটিং সিস্টেম বলে মনে করা হচ্ছে, যা কোম্পানির এক দশকেরও বেশি পুরনো এমআইইউআই-কে প্রতিস্থাপন করতে চলেছে।
ক’দিন আগেই টিপস্টার বলেছিলেন, এমআইইউআই ১৪ হবে এমআইইউআই-এর শেষ প্রজন্ম এবং এটি এমআইওএস দ্বারা রিপ্লেস হবে। কিন্তু পরে শাওমিইউআই দাবি করে যে, নতুন এমআইওএস সফটওয়্যার শুধুমাত্র চীনেই উন্মোচন করা হতে পারে এবং এটি বিশ্বব্যাপী চালু হবে না। আইস ইউনিভার্সের মতো অন্যান্য টিপস্টাররাও এমআইওএস-এর আগমনের ইঙ্গিত দিয়েছেন। তাই সম্ভবত, চীনে উন্মোচিত শাওমি ১৪ সিরিজের ফোনগুলোকে শুধুমাত্র নতুন ওএস-এ রান করতে দেখা যাবে।
জানিয়ে রাখি, এমআইওএস কিন্তু বর্তমান এমআইইউআই এর মতো শুধুমাত্র অ্যান্ড্রয়েড ওএস ভিত্তিক একটি কাস্টম স্কিন হবে না। শাওমি সম্ভবত এমআইওএস-কে একটি সার্বজনীন অপারেটিং সিস্টেম বানানোর পরিকল্পনা করছে, যা ভবিষ্যতে স্মার্টফোন এবং ট্যাবলেট থেকে শুরু করে গাড়ি এবং স্মার্ট হোম পর্যন্ত সমস্ত ডিভাইসে ব্যবহার করা হতে পারে। ব্যবহারিক ক্ষেত্রে এটি হুয়াওয়ের হারমোনিওএস এর মতো হবে।
ডিবিটেক/বিএমটি