কম্পিউটার জগতে রাজত্বকরলেও মোবাইল ফোনের বাজারে মোটেই সুবিধা করতে পারেনি মাইক্রোসফট। নোকিয়াকে নিয়ে প্রচেষ্টা চালালেও অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের ভিড়ে হারিয়ে গেছে একসময়ের তৃতীয় বৃহৎ মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম উইন্ডোজ। সিম্বিয়ান ছেড়ে অ্যান্ড্রয়েড প্লাটফর্মে ফের ঘুড়ে দাঁড়াচ্ছে নোকিয়া। তাহলে কেন পারলো না প্রযুক্তি দুনিয়ায় রাজত্বকারী উইন্ডোজ? এই ব্যর্থতার চরাটি কারণ গিজমোচীনা-কে জানিয়েছেন নোকিয়ার সাবেক প্রকৌশলী টেরি মায়ারসন।
তার ভাষায় গুগল’র অ্যান্ড্রডকে অবহেলা করা, একইসময়ে উইন্ডোজ-৮ এর ব্যর্থতা, সুনাম ক্ষুণ্ণ হওয়া এবং অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএসের জয়জয়কারে মোবাইল দুনিয়ায় ভেসে গেছে উইন্ডোজ।
টেরি এই কারণগুলোর ব্যখ্যাও দিয়েছেন।
তার ভাষায়, ওই সময়টায় একদিকে অ্যাপেলের আইএসও অপারেটিং সিস্টেম বাজার কাঁপাচ্ছিল; অন্যদিকে গুগলের অ্যান্ড্রয়েড তাদের পথচলা শুরু করেছিল। কিন্তু তখন মাইক্রোসফট অ্যান্ড্রয়েডের কোন তোয়াক্কা করেনি। পরবর্তীতে গুগলের বেশকিছু সার্ভিস জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। এরমধ্যে ইউটিউব, ম্যাপ, জিমেইল, ড্রাইভ সার্ভিস। কিন্তু গুগলের সৃজনশীল কৌশল ধরতে উইন্ডোজ ততক্ষণে অনেক দেরি করে ফেলেছে।
এরপর যখন মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ-৮ ভার্সন বাজারে আসলো তখন প্রাথমিকভাবে কিছু ত্রুটি দেখা যায়। যা উইন্ডোজ-৮ ফোনেও লক্ষ্য করা যায়।
এই ধারাবাহিকতায় মাইক্রোসফট ব্র্যান্ডের ইমেজ ক্রাইসিস বা সুনাম ক্ষুণ্ণ হয়। যার বিরুপ প্রভাব তরুণ প্রজন্মের মধ্যে পড়ে, তারা উইন্ডোজ ছেড়ে তখন অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস কে বেছে নেয়।
মূলত অ্যান্ড্রয়েডের হাজারো ফ্রি অ্যাপের প্লে স্টোর আকর্ষণীয় ফিচারের জন্য ২০১৪ সালের মধ্যে অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহারকারীর সংখ্যা তখন আকাশচুম্বী। অন্যদিকে উইন্ডোজ ফোনে নির্দিষ্ট কিছু অ্যাপ এবং বেশির ভাগই মাইক্রোসফট স্টোর থেকে টাকা দিয়ে কিনতে হতো। ফলে গ্রাহকরা সবাই পছন্দের শীর্ষে বেশি ফিচার থাকা সিস্টেমকেই বেছে নেন।