ষষ্ঠ জনশুমারি অনুযায়ী বাংলাদেশের বর্তমানে জনসংখ্যা প্রায় ১৭ কোটি। সেই হিসেবে, আয়তনে বিশ্বে ৯২তম এই দেশ জনসংখ্যায় বিশ্বে অষ্টম বৃহত্তম। ডিজিটাল রূপকল্প বাস্তবায়নের পর দেশের মোট জনসংখ্যার ৫৬ শতাংশই স্মার্টফোন ব্যবহার করেন।
অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশ (অ্যামটব) বলছে, মোট জনসংখ্যার ৯৮ দশমিক ৫ শতাংশ ফোরজির আওতাভুক্ত। এছাড়া বর্তমানে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (এমএফএস) ব্যবহার করছে ২১ কোটি ৯০ লাখ গ্রাহক। তাছাড়া মোট জনসংখ্যার ৫৬ শতাংশই স্মার্টফোন ব্যবহার করছেন। বিশ্বের অষ্টম সর্বোচ্চ মোবাইল বাজার বাংলাদেশ। বাজারের এই ব্যপ্তিতে জাতীয় মোট দেশজ উৎপাদনে মোবাইল টেলিকম খাতের অবদান ৮ শতাংশ।
তবে বিটিআরসি’র ২০২৩ সাল শেষে জানুয়ারি মাসে প্রকাশিত মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেটের তথ্য বলছে, স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত মোবাইলফোনের মধ্যে ৮১.২০ শতাংশ ফিচার ফোন এবং ১৮.৮০ শতাংশ ফোন স্মার্ট ফোন। মোট উৎপাদিত ফোনের সংখ্যা ১৮ লাখ ৯২ হাজার।
অ্যামটব এর ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ের তথ্য বলছে, ২০০৮ সালে দেশে মোবাইল গ্রাহকের সংখ্যা ছিলো ১৯ কোটি ১৩ লাখ ৮০ হাজার। ১৫ বছরে মোবাইল ব্যবহারকারীর প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১০৭ শতাংশ। এখন দেশ ৫৪ হাজার ৯৬০টি সাইট রয়েছে। নেটওয়ার্ক কাভারেজের ৯৮ দশমিক ৫ শতাংশই এখন ফোরজি। আর এই ফোরজি সুবিধা উপভোগকারীদের ৫৬ শতাংশের হাতেই রয়েছে স্মার্ট ফোন।
মোবাইল অপারেটরদের সংগঠনটির প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, সিম ব্যবহারকারীদের মধ্যে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১১ কোটি ৭৪ লাখ। একজন একাধিক সিম ব্যবহার করায় এই হারটা মোট জনসংখ্যাকে ছাড়িয়ে গেছে। বিগত ১৫ বছরে মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহারের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬৫ শতাংশ। ব্যবহারকারীরা সাড়ে ৬ জিবির বেশি ডাটা ব্যবহার করেন।